English | Bangla
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা বিষয়ক ত্রৈমাসিক গবেষণা প্রতিবেদন (জানুয়ারি - মার্চ, ২০২০)
Cover_TAPS_Final_Report_(January_-_March,_2020).jpg
বিজ্ঞাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো যে কোন পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা। সে অনুসারে, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো এর ভোক্তা সৃষ্টি ও তামাকজাত পণ্য সেবনে মানুষকে উৎসাহিত করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বিজ্ঞাপনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে ‘‘তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার’’ অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন তামাকজাত দ্রব্য বা তামাকের ব্যবহার প্রবর্ধনের উদ্দেশ্যে যে কোন ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। মানুষ যাতে তামাকের মত স্বাস্থ্যহানীকর পণ্য সেবনে উৎসাহিত না হয়, এজন্য ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এর ধারা -৫ অনুসারে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, সারাদেশে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 
 
 
বিশেষ করে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে (point of sales) নিত্য নতুন আঙ্গিকে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও প্রচারণা চালাচ্ছে, যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সম্পূর্ন অবৈধ এবং শাস্তিমূলক অপরাধ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৫ এর উপধারা (ছ) অনুসারে, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে (point of sales) যে কোন উপায়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করিবেন না বা করাইবেন না মর্মে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত সংগঠনসমূহের সহায়তায় বিগত ১০ বছরের অধিক সময় যাবৎ তামাক কোম্পানির আইন লঙ্ঘণের চিত্র চিহ্নিত ও পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরছে। সম্প্রতি, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ত্রৈমাসিক গবেষণা আকারে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংশ্লিষ্ট স্থানে উপস্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিবেদনটি ডাউনলোড করুন।