English | Bangla
অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন এবং জনস্বাস্থ্যে বিরুপ প্রভাব
Junk_Food_Book01.jpg
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্রের রোগ (এজমা), ডায়াবেটিস এর মতো ভয়াবহ বিভিন্ন রকম অসংক্রামক রোগ। ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অসংক্রামক রোগ মহামারী আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।
 
বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের হার ক্রমশ বাড়ছে। প্রধানত চারটি কারণে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। যেমন: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং অত্যাধিক মদ্যপান। স্বাস্থ্যকর জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়ে কয়েকটি ক্ষেত্রে আচরণগত কিছু পরিবর্তন আনলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
 
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে অনেক কার্যক্রম গৃহিত হয়েছে এবং এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, নগর জীবনে মানুষের কর্মব্যস্ত ও আকর্ষনীয় প্রচারণার প্রভাবে মানুষের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রবণতা বাড়ছে। অন্যদিকে খেলার মাঠ-পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানের স্বল্পতা, হাঁটার পরিবেশে নানারকম প্রতিবন্ধকতা, দীর্ঘসময় বসে কাজ করার প্রবণতা ও প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে শারীরিক পরিশ্রম কমছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে এবং পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমে মানুষকে উৎসাহী করতে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়র অনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞাপন প্রচার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে প্রচারের অভাবের কারণে মানুষ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয়র প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
 
এই গবেষণা প্রতিবেদনে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়র বিজ্ঞাপন পর্যবেক্ষণ এবং সামগ্রিকভাবে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ডাউনলোড