বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি জনপ্রিয় রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থা। নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহন করায় উন্নত দেশগুলিতে রেলওয়ে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বাংলাদেশেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে রেলের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলের অন্যতম প্রাণশক্তি বা চালিকাশক্তি রেল কারখানাগুলোকে আধুনিকায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
রেলওয়ের লোকোমোটিভ, ক্যারেজ ও ওয়াগনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং নির্মাণ করার লক্ষ্যে রেল কারখানাগুলো প্রতিষ্ঠা করা হলেও তা আজও নানা কারণে ব্যহত হচ্ছে। কারখানাগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং এর কার্যকারিতা ব্যহত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করাই ছিল আমাদের এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনটি কারখানা (সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, পাহাড়তলী) পরিদর্শন করা হয়।
১৮৭০ সালে সৈয়দপুরে তৎকালীন আসাম- বেঙ্গল বর্তমান বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বপ্রথম রেল করাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে পাহাড়তলী এবং পার্বতীপুরে আরো দুটি কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারখানাগুলো প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল রেলওয়ের লোকোমোটিভ, ক্যারেজ ও ওয়াগন- এর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, আয়ুষ্কাল ঠিক রাখার পাশাপাশি গতিশীলতা বজায় রাখা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কারখানাসমূহে লোকবল সংকট, বাজেট স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব, পুরনো যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক মেশিনারিজের অভাবে কাজের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখতে পারছে না।
যা যাত্রীসেবা প্রদান ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অন্তরায়। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে এবং কোচ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভ- এর সচলতা এবং আয়ুষ্কাল ঠিক রাখতে সুষ্ঠূ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল নিয়োগ, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়ে কারখানাসমূহের আধুনিকায়ন করা একান্ত প্রয়োজন।
ডাউনলোড করুন