English | Bangla
এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩
Cover_FCTC-01.jpg

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও তামাক কোম্পানিগুলোর
প্রতারণামূলক নানা কার্যμমের ফলে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। বাংলাদেশ সরকার
আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রম। ২০০৩ সালে
এফসিটিসি যখন চুড়ান্ত হয় তখন এটি প্রম স্বাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ। পরবর্তী
সময়ে ২০০৪ সালে এ চুক্তি অনুস্বাক্ষর বা র‌্যাটিফাইও করে বাংলাদেশ সরকার।
এফসিটিসির আলোকে সরকার ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করেছে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করে। কার্যকর ও শক্তিশালী আইনের
প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় এফসিটিসির আলোকে সরকার ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ
আইনের সংশোধনী পাস করে। এছাড়া ২০১৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা
পাস হয়।
এফসিটিসিতে প্রম স্বাক্ষরকারী দেশ হয়েও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তামাকজাত দ্রব্যের
মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করেনি। তবে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল সংশোধিত
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ২০১৫ সালে পাস হওয়া আইনের বিধিমালার আলোকে
২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশের সব তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ
সতর্কবাণী আসবে। বাংলাদেশের পরে এফসিটিসি স্বাক্ষর করেও পৃথিবীর প্রায় ৭৫টি
দেশ ইতিমধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করছে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও তামাক নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরে
এফসিটিসি স্বাক্ষর করলেও ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের ক্ষেত্রে নেপাল, শ্রীলংকা,
ভারত, পাকিস্তানÑপ্রভৃতি দেশ এগিয়ে গেছে।ডাউনলোড