বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়ায় ৪০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ক্যান্সার তৈরী করে। ধূমপানজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে প্রতি ৮ সেকেন্ডে ১ জন এবং প্রতিবছর ৫৪ লক্ষ রানুষ মৃত্যু বরণ করছে। ধূমপানজনিত এ মৃত্যুর ধারা চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। যার মধ্যে ৭০ লক্ষই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
ধূমপানজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে আন্তজার্তিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ইন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) চূড়ান্ত হয়েছে। এটি বাংলাদেশ সর্বপ্রথম সাক্ষর করে এবং র্যাটিফাই করে। এফসিটিসির ১১ নম্বর আর্টিকেল এ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে বিদ্যমান লিখিত সতর্কবাণী ধূমপায়ীদের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলছে না। এজন্য এ আইন উন্নয়নের মাধ্যমে তামাকজাত দ্র্রব্যর মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী প্রদান করা প্রয়োজন।