আমাদের পরিবার বা সমাজের চারপাশে প্রতিনিয়তই দেখা যায় নারী নির্যাতনের বিভৎস ঘটনা। নারী-পুরুষের সমন্বিত এই সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবে নারীরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সরকারী-বেসরকারী সংগঠন এসব বঞ্চিত নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তাদের এ উদ্যোগের ফলে কয়েকটি ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। তথাপি নারীর প্রতি নির্যাতন-বেষম্য কমিয়ে এনে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এখনো আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। যার প্রধানতম কারণ পুরুষের নেতিবাচক মনোভাব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনে একক কর্তৃত্ব বজায় রাখা। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুরুষের ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা প্রয়োজন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ এখনো দেখা যাচ্ছে না। সরকারী-বেসরকারী যে সব সামাজিক প্রতিষ্ঠান নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তাদের অধিকাংশই কাজ করছে নারীদের সাথে। যে কারণে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম সংগঠিত হলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। নারীর প্রতি নির্যাতন-বৈষম্য কমিয়ে আনতে নারী সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরুষদেরকেও সংবেদনশীল করে তুলতে হবে।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই “নারীর উপর নির্যাতন-বৈষম্য কমিয়ে আনতে পুরুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়েছে। এই গবেষণা কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ আরও সুগম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।