দেশের জনগণের স্বা¯'্য উনড়বয়নের সাথে সে দেশের প’চলিত আইন ও নীতিগুলোর সম্পর্ক নিবিঢ়। কিছু গোষ্ঠী এ সকল নীতিকে ব্যবসায়িক স্বার্থে প’ভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে থাকে। এদের মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি সμিয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নীতি প’ণয়নে তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ একটি বিরাট চ্যালেঞ্ছ। চ্যালেঞ্ছটি বর্তমানে অধিক পরিমানে দৃশ্যমান। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ’ণী ভ‥মিকা রাখার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেখান থেকে দেশকে পিছিয়ে পড়তে হ‧েছ। এই পিছিয়ে পড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম, রাষ্ট্রে বিদ্যমান নীতি ও আইনসমুহের মধ্যে তামাক সম্প্রসারণে সহায়ক বিধানসমুহের উপ¯ি'তি। এ অধ্যায়ে গবেষনার আলোকে বাংলাদেশের কোন কোন আইন, নীতি, আদেশে, তামাক নিয়ন্ত্রণে প’তিবন্ধকতা সৃস্টিকারী বিধান বিদ্যমান তা আলোচনা করা হয়েছে।
তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ বাংলাদেশে নতুন নয় এবং এর বহু প’মাণ রয়েছে। ১৯৯০ সালে স্বা¯'্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আইন প’ণয়নের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের উদ্যোগ গ’হণ করেছিল। কিšদ তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপের কারণে এটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি । ১ এ ঘটনার ১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প’ণয়নের মাধ্যমে সকল তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়২। তবে এ দীর্ঘ সময়ের মাঝে হাজার হাজার তরুণকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধূমপানে আকৃষ্ট করার সুযোগ পায় তামাক কোম্পনিগুলো। কি কারণে, কিভাবে, কার মাধ্যমে সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ বন্ধ করা হয়েছিল এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোন তথ্য না থাকলেও, এটি তামাক কোম্পানির প’ভাবের একটি সুপষ্ট নমুনা। জনস্বা¯'্য রক্ষায় তামাক কোম্পানিগুলোর নীতিতে প’ভাব বিস্তাবরের সুযোগ বন্ধ করা জরুরী।
Read More