বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে উচ্চমাত্রায় তামাক সেবনের হার বিদ্যমান। বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি তামাক সেবনকারী দেশের মধ্যে অন্যতম। ১৫ বছর ও তদুর্ধ্বদের মধ্যে পরিচালিত Global Adult Tobacco Survey-2017 এর তথ্যানুসারে, দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তামাক সেবন করে। এছাড়া এর মধ্যে ১৫ বছর ও তদুর্ধ মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৯২ লাখ (১৮%) ধূমপান করে। চলমান করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দেশের কয়েক কোটি মানুষকে উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিধায় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনগণকে তামাক পণ্য সেবন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে প্রচারণার অব্যহত রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও মানুষকে এ ক্ষতিকর পণ্য সেবনে নিরুৎসাহিত করছেন। কিন্তু, তামাক কোম্পানিগুলো থেমে নেই।
COVID-19 মহামারীর সময়ে মানুষ নিজেদের সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাক পণ্য থেকে দূরে থাকছে। যদিও ‘তামাক’ খাদ্য কিংবা জীবন রক্ষাকারী পণ্য নয় তারপরও এমন দু:সময়ে বহু পুরাতন রাষ্ট্রীয় কিছু আইনের দূর্বলতার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে ‘তামাককে জরুরী পণ্য’ বলে উৎপাদন, বিপনণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। উপরন্তু, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এর ধারা-৫ লঙ্ঘণ করে কৌশলে সারাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরন কার্যক্রম পরিচালনা করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এমনকি “তামাক সেবনে করোনার ভয় নেই” বলেও বিভ্রান্তিকর প্রচারণাও লক্ষ্য করা গেছে।
চলমান করোনা মহামারীর দু:সময়েও তামাক কোম্পানি কর্তৃক উক্ত আইনের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা সংক্রান্ত লঙ্ঘণসমূহ চিহ্নিতকরণ, বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ, এবং আইন বাস্তবায়ন গতিশীলকরণে সুপারিশ প্রণয়ন এ গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে ধূমপায়ী/তামাক সেবনকারীদের তামাক ব্যবহার সংক্রান্ত আচরণ ও মনোভাব সম্পর্কে জানা যাবে এ গবেষণার মাধ্যমে।