ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, জলাশয় সংরক্ষণ আইনসহ প্রায় দুইশ আইন কোনো না কোনোভাবে জলাশয় দূষণ ও দখল প্রতিরোধ, সংরক্ষণ এবং রক্ষা বা এ সম্পর্কিত আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব কোনো
একক সংস্থার কাছে না থাকায় আইনের বাস্তবায়ন শিথিলভাবে হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কোনো বাস্তবায়নই হচ্ছে না। তাছাড়া দখল ও দূষণকারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শ আইন বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হয়। ভারতের সেন্টার ফর সাইন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এবং বাংলাদেশের ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডবি্লউবিবি) ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল বুধবার ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব বক্তব্য উঠে আসে। সকালে ঢাকার জলাশয় শিরোনামের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সারওয়ার জাহান। আলোচনা করেন_ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ডবি্লউবিবি ট্রাস্টের উপদেষ্টা দেবরা ইফরমসন ও সিএসই'র সহ-কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সুস্মিতা সেনগুপ্তা। এ অধিবেশনে রাজউকের পক্ষে লেক ও জলাশয়কে ফোকাস করে ঢাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বিষয়ক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভিত্তি'র পরিচালক ইশতেহাক জহির তিতাস। বিদ্যমান জলাশয় ও লেকের ঝুঁকিসমূহ তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইশারাত ইসলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জলাশয় রক্ষায় ইতিবাচক উদহারণ তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডবি্লউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। ড. ইশারাত তার প্রবন্ধে বলেন, লেকসহ সব জলাশয়ের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় নেয়া হয় না বলেই এসব দখল ও দূষণ হচ্ছে। অথচ মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ, বিনোদন, ভূ-গর্ভের পানির স্তর স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে জলাশয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. সারওয়ার জাহান বলেন, নগরে জলাশয় অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই জলাশয় রক্ষায় বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান জরুরি।
Source: http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDlfMjdfMTJfMV8xXzFfNTEwNw==