জেব্রা ক্রসিং এ সড়ক পারাপার পথচারীর অধিকার। পৃথিবীর প্রায় সব শহরেই জেব্রা ক্রসিংয়ের মাধ্যমে পথচারীরা সড়ক পার হয়। জেব্রা ক্রসিংয়ের পূর্বেই যানবাহন সিগন্যালে থামে এবং পথচারী পারাপারের সঙ্কেত সম্বলিত বাতি জ্বলে উঠে। তখন পথচারীরা সড়ক পার হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সড়ক পারাপারের জন্য সিডনি, নিউইয়র্কসহ পৃথিবীর অনেক শহরে শব্দসঙ্কেতও প্রদান করা হয়। অথচ ঢাকা শহরে পথচারী পারাপারে সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর নয়। যানবাহনগুলোও জেব্রা ক্রসিংয়ের বিধান অনুসরণ করে না। যা পথচারীর সড়ক পারাপারকে বিপদজনক করে তুলছে। প্রায়শই বিপদজনকভাবে সড়ক পার হতে গিয়ে পথচারী মারা যায়। গবেষণায় বলা হয়, ঢাকায় প্রতিদিন একজন পথচারী সড়ক পার হতে গিয়ে মারা যায়। এছাড়া আরও অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাই পথচারী পারাপার নিরাপদ করতে এখনই কঠোর হতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের বিধান মানতে যানবাহনগুলোকে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে আইন অমান্যকারী যানচালকের লাইসেন্স বাতিল ও জেল-জরিমানার বিধান রেখে বিদ্যমান আইন ও নীতি কঠোর করতে হবে।
১৬ মে ২০১২ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১১:৪৫টা পর্যন্ত শিক্ষাভবনসংলগ্ন হাইকোর্ট মোড়ের সিগন্যালে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান। তিনদিন ধরে এ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে ফ্যামিলিজ ইউনাইটেড এগেইন্স্ট রোড একসিডেন্ট (ফুয়ারা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), পীস ফাউন্ডেশন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এনডিএফ), ক্যাম্পেইন ফর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিএফডি), গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট।
ক্যাম্পেইনের সদস্যরা চালকদেরকে জেব্রা ক্রসিংয়ের বিদ্যমান বিধান সম্পর্কে অবহিত করে এবং পথচারীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট-স্টিকার বিতরন এবং ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করে। কর্মসূচি চলাকালে দেখা যায়, পথচারীদের অধিকার লঙ্ঘন করায় গাড়ী চালকদেরকে উপস্থিত কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জন জরিমানা করছে।
উক্ত ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দেন গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আমির হাসান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সদস্য নূর আহ্মদ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট) এর প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।