দেশের পরিবেশ-অর্থনীতির উন্নয়নে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি জরুরি
বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক সেবনের কারণে দেশে প্রতিবছর ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ এবং ৩ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ অকালে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। ৫৭,০০০ মানুষের জীবন রক্ষা এবং প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবন; নাকি রাজস্ব কোনটা জরুরি? ০৬ মার্চ ২০১০ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে উন্নয়ন সমন্বয় ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমসহ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে উপরোক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ২০ বছরে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়েনি। ফলে দরিদ্র জনগণের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। দরিদ্র জনগণকে তাই জনগণকে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক সেবন থেকে দূরে রাখতে হবে। এজন্য তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়াতে হবে। এসব পণ্যের কর উপর কর বাড়াতে হবে।
মানবিক এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা’র সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, একলাব এর কর্মসূচী পরিচালক মোঃ শামসুল আলম, নাটাব এর জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম খলিল উল্ল্যাহ, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাঈদ রানা, সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. মোঃ জসিম উদ্দিন, ম্যান ফর ম্যান এর নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন প্রমুখ। এতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে অংশ নেন মানব উন্নয়ন সংস্থা, সারডা, সিরাক বাংলাদেশ, সেতু, এইড, এসডিও, শার্প, গ্রীণবেল্ট, সিয়াম, সারডা, ভেনচার ফাইন্ডেশন প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধি। অবস্থান কর্মসূচী যৌথভাবে পরিচালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সুজন ও উন্নয়ন সমন্বয় এর প্রোগ্রাম অফিসার আবিদা সুলতানা।
প্রত্যাশা’র সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, এতে বলা হয়, যে পণ্য ব্যক্তি ও সমষ্টিক ক্ষতি করছে, সে পণ্যের দাম ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ; তামাকজনিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণসহ দেশের পরিবেশ-অর্থনীতির উন্নয়নে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি জরুরি। জনস্বার্থে আসন্ন বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি করতে হবে।
মানবিক সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, জর্দা, গুলসহ সকল তামাকজাত দ্রব্যকে করের আওতায় আনা, বিড়ি-সিগারেটসহ সব তামাকজাত দ্রব্যের উপর প্রতিবছর ২০% হারে করবৃদ্ধি করা, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ৪% স্বাস্থ্যকর আরোপ করাসহ তামাকের উপর কর বৃদ্ধির একটি নীতিমালা প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়।