সারা বিশ্বে সাইকেল দীর্ঘদিনের পুরাতন বাহন। যাতায়াত ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। সাইকেল দূষণ ও জ্বালানীমুক্ত বাহন। সাইকেলে চলাচলে খুবই কম জায়গা লাগে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট অথবা বছরে ২১০০ কিমি সাইক্লিং করলে ৫০ ভাগ মুটিয়ে যাওয়া, ৩০ ভাগ ব্লাড প্রেসার, ৫০ ভাগ হৃদরোগ, ৫০ ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এজন্য সাইকেলে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরী। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা সাইক্লিং ক্লাব, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় সাইক্লিং দিবস ঘোষনা ও সাইকেলে চলাচলের উপযোগী পরিবেশের জন্য আয়োজিত সাইকেল র্যালিতে বক্তারা এই মতামত ব্যক্ত করেন। উক্ত র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এমপি।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ অধিক হারে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ। যান্ত্রিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি যার অন্যতম কারণ। যান্ত্রিক যানবাহনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দূষণ ও জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। সাইকেলের পাশাপাশি হাঁটা ও পাবলিক বাসে চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি ব্যক্তিগত গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করবে। বিশ্বে অনেক উন্নত দেশে নগরভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থায় সাইকেলে চলাচলে উৎসাহিত করতে পৃথক লেন, পথ ও স্ট্যান্ড তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। যা প্রতিবছর সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধি করছে। আমাদের দেশেও সাইকেলে নিরাপদভাবে চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন করা সম্ভব।
বক্তব্যে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে সাইক্লিংকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে একটি দিবস দীর্ঘদিনের দাবী। যা বাস্তবায়ন হলে এই দিনকে ঘিরে সাইকেলকে জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন আয়োজন সংঘটিত হবে। এজন্য ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সাইকিং দিবস ঘোষণা করা যেতে পারে।
এছাড়া জাতীয় সাইক্লিং দিবস ঘোষনা ও সাইকেলে চলাচল উপযোগী পরিবেশের তৈরি, ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সাইক্লিং দিবস ঘোষনা করা; শহরের সর্বত্র সাইকেলে চলাচলের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা; সাইকেলের জন্য পৃথক লেন ও পথ তৈরি করা; সাইকেলের জন্য স্ট্যান্ড তৈরি করা; সাইকেলের উপর আরোপিত কর কমানো; ফ্রি সাইকেল সার্ভিস চালু করা; “বাইক এন্ড রাইড সিস্টেম” চালু করা; পথচারী, রিকশা ও পাবলিক বাসে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করা সুপারিশ করা হয় র্যালি থেকে।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানার উপস্থাপনায় উক্ত র্যালি শুরুর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন এর সভাপতি মিজানুর রহমান মানু, তিতাস গ্যাস লি: এর সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, ডাব্লিউবিবির ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান প্রমূখ