গত ২৩ মার্চ ২০১২ রোজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় রাজধানীর ঢাকা রমনা পার্কের সম্মুখে অরুণোদয়ের তরুন দল ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্দ্যোগে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সর্তকবাণীর দাবীতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অরুণোদয়ের তরুন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো:- শহিদুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোহাইমিনুল আজিজের পরিচালনায় এই মানববন্ধন ও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অরুণোদয়ের তরুন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো- শহিদুল ইসলাম বাবু সেক্রেটারী মোহাইমিনুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো হোসাইন, সহ-সেক্রেটারী মো: মনির হোসেন ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রতিনিধি মো: রাশেদুজ্জামান শামীম।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর থাকায় সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সর্তকবাণী দেওয়া জরুরী বলে মনে করেন । প্রতি বছর ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং ৩ লক্ষ ৮২ হাজার লোক পঙ্গুত্ব বরণ করে এর জন্য দায়ী ধুমপান তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার। যেহেতু বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৪০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। শুধু ধূমপায়ী নয়, এ ধোঁয়া অধূমপায়ীর জন্যও সমান ক্ষতিকর। তামাক কোম্পানীগুলো এর্কার্যক্রম করেই ক্ষান্ত নয়, বিভিন্ন কুটকৌশলে নীতি নির্ধারক ও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদেরও প্রভাবিত করছে। সরকারের কর্মকর্তাদের কোম্পানিগুলোর সাথে কিভাবে কার্যক্রম করবে সে বিষয়ে সুপষ্ট নীতি থাকা প্রয়োজন। দেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। এ সকল জনসাধারণকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশে কোম্পানিগুলো সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করলেও, বাংলাদেশে প্রদান করছে না। তামাক কোম্পানী গুলো সরকারকে প্রতি বছর যে শুল্ক প্রদান করে তার চেয়ে দ্বিগুন অর্থ ব্যয় হয় জনগনের তামাকজনিত চিকিৎসা খাতে। তামাকজাত দ্রব্যব্যবহার ধুমপানের কারনে জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখে।
বক্তরা আরো বলেন, তামাক ব্যবহারে আমাদের যুব সমাজ আজ দিশেহারা হয়ে বড় বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে , যার কারণে সমাজে অপরাধ প্রবনতা দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ।
সুতরাং তামাক কোম্পানীর স্বার্থ নয় জনগনের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে তামাক আইন সংশোধন করে বর্তমান সরকার দেশ জাতির কাছে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।