স্থানীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলির তামাক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণের উপর কর্মশালা"
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট(বাটা)’র স্থানীয় সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বাস্তবায়নেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র স্থানীয় সংগঠনগুলো। ইতিপূর্বেই সংগঠনটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটিতেও প্রতিনিধিত্ব করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তা বাস্তবায়নে হাতে আছে আর মাত্র ১৮ বছর। কাজেই তামাক নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং পরিচালনা, প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, বিভিন্ন দক্ষতাবৃদ্বিমূলক প্রশিক্ষন কর্মসূচী আয়োজন, প্রশাসনে বিষয়টি নিয়ে এডভোকেসী করা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত ০৬ মার্চ ২০২২, রবিবার সকাল ৯.৩০ টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যেগে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সেমিনার হলে “Workshop on Strengthening Tobacco Control Capacity of Local Level Organizations শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি ও আলোচকবৃন্দ ছিলেন গাইবান্ধা-১ এর মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কুমিল্লা-০৭ এর মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, দি ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হামিদুর রহমান খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, স্থানীয় সংগঠনের অব্যাহত কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে ধূমপান নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বেশ কিছু সফলতা অর্জিত হয়েছে। ২০০৫ সালের আইনটি আবার সংশোধনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এখনও বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম । জাতীয় সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার একটি জায়গা তৈরী হয়েছে। শুধূ সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকজনিত ক্ষতি প্রতিকার করা সম্ভব নয়। তামাক নিয়ন্ত্রণের সপক্ষে যারা কথা বলেন তাদের সরকারকে পথ দেখাতে হবে এবং সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে তামাক বিরোধী জোটের নেতৃত্বে সারা দেশের কার্যরত স্থানীয় সংগঠন গুলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দেলনে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকারের উচিত তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সংগঠনের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়া। জেলা উপজেলা পর্যায়ে টাস্ক ফোর্স মিটিং গুলোকে আরো ফলপ্রসু করে তুলতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত তামাকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে তিনি তামাকের বিরুদ্ধে আরও প্রচারণার কথা বলেন। তামাক নিয়ন্ত্রণে নিজের ঘর থেকে আগে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সরকারের কাছে যে সারচার্জের টাকা আছে তা আমরা ধূমপান নিষিদ্ধেকাজে লাগাতে পারি। তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কাছে আমরা আর্থিক বরাদ্দের বিষয় দাবী জানাতে পারি। তিনি গণমাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকারক দিক প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানান। মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমেও তামাকের কুফল বিষয়ে অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন ।
হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনে জড়িত স্থানীয় সংগঠনের জন্য অভিভাবক স্বরুপ। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সরকারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে। আগামী বছর থেকে স্থানীয় সংগঠনকে আর্থিক বরাদ্দের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে। কিন্তু তার আগে স্থানীয় সংগঠনগুলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও তৎপর হতে পরামর্শ দেন। তিনি জেলা, উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটিকে আরও শক্তিশালী করা এবং তিনমাসের পরিবর্তে দুই মাস পরপর টাস্কফোর্স মিটিং করার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন।
অধ্যাপক রোমানা হক বলেন, সিগারেটের উপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের উপর জোর দেন। ধোঁয়াবিহীন তামাককেও করের আওতায় আনার কথা বলেন। তামাক কোম্পানি অনেক সময় বলে থাকে তামাকের উপর কর বাড়ালে সরকারের রাজস্ব কমে যাবে। অথচ তামাকজাত দ্রব্য থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমান ধূমপান জনিত চিকিৎসা ব্যয় থেকে অনেক কম। আমাদের দেশে খুচরাভাবে সিগারেট বিক্রি হয়ে বলে তা সহজপ্রাপ্য।
অনেক সময় কোম্পানি বলে থাকে কর বাড়ালে বিড়ি শিল্পের শ্রমিকরা তাদের চাকরী হারাবে। কিন্তু বাস্তচিত্র হচ্ছে বাংলাদেশে তামাক শিল্পে কাজ করে খুব কম সংখ্যক শ্রমিক। চারটি স্তর থাকায় কর আরোপ করায় জটিলতা দেখা যায় বলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ফাঁকির সুযোগ থাকে। তিনি সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর কমিয়ে এক বা দুই স্তর বিশিষ্ট মূল্যস্তররের দাবী জানান। বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে সঠিক হারে কর বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন, টাস্ক ফোর্স মিটিং পরিচালনা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তা, নিয়মিত দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এমনকি সকল তামাক দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা জরুরি।
এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল থেকে টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত সকল স্থানীয় সংগঠনের জন্য আর্থিক বরাদ্দের দাবী জানান। তিনি আরও বলেন পাবলিক প্লেস, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কফি হাউজে তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে। ইলেকট্রনিক সিগারেট ব্যাবহারের দৃশ্য এমনকি এই পণ্যের মোড়ক, বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করতে হবে। কোন ব্যক্তি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করতে পারবে না। এ আইনের বাস্তায়নের উদ্দেশ্যে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যেকোন পাবলিক প্লেস, পরিবহন এমনকি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারবেন এমনকি প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন।
তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্লেস ও পরিবহণে জরিমানা বৃদ্ধি করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তি সরাসরি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে স্থানীয় সরকারের গাইডলাইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তরুণ সমাজকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন ।
সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের স্থানীয় সংগঠনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তামাক বিরোধী জোট’র নিরলস পরিশ্রমের ফলেই আজ বাংলাদেশের সর্বত্র তামাক নিয়ন্ত্রণে কিছু না কিছু কাজ হচ্ছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় সংগঠনগুলোকে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীকে আরও গতিশীল করবে। সরকারের সহায়তা পেলে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মাধ্যমে এ কর্মসূচীকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে সক্ষম হবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হেলাল আহমেদ প্রথমে তামাক আন্দোলনে জড়িত সবাইকে শুভকামনা জানান। তিনি বলেন, বিগত দিনে ভলেন্টিয়ার কর্মসূচীর মাধ্যমে তামাক বিরোধী জোট তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতায় এ আর্থিক বরাদ্দের পরিমান সীমিত হয়ে আসছে। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ছে। তামাক কোম্পনির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরূদ্ধে এ অসম যুদ্ধে জয় লাভ করতে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন প্রয়োজন। সরকারের কাছে যে অর্থ জমা আছে তা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা সম্ভব।
আবু নাসের খান বলেন, ধূমপানের কোন ইতিবাচক দিক নেই। বরং তামাক হতে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। সন্তানসম্ভবা মায়ের জন্যও পরোক্ষ ধূমপান মারাত্মক ঝুঁকি বহণ করে। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলন কে আরও জোড়ালো করতে হবে। অতীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। সরকারের কাছে যে সারচার্যেরর টাকা আছে তা কাজে লাগালে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী আরও গতিশীলতা পাবে। তিনি কৃষকদের তামাকের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহী হওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
সারা দেশ থেকে ৮ টি বিভাগের তামাক বিরোধী জোটের প্রায় ৪০ টিরও বেশী সংগঠনের প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজনসহ তিনটি সেশনে ““Workshop on Strengthening Tobacco Control Capacity of Local Level Organizations ” কর্মশালাটি সাজানো হয়। কর্মশালায় তৃণমূল সংগঠনগুলোর পক্ষ হতে স্থানীয় পর্যায়ে বিলবোর্ড, স্টিকার, লিফলেট, পোষ্টার বিতরণ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক বরাদ্দের দাবী জানান। কর্মশালার শেষ সেশনে একটি কনসালটিং
গ্রুপ মিটিং এর আয়োজন করা হয় যেখানে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রায় ৪০ টি সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয় ।
সুপারিশ:
তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করা
তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে সারচার্জের টাকা স্থানীয় সংগঠনদের জন্য বরাদ্দ দেয়া
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট মূল্যস্তর প্রবর্তন করা
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় না করা
তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তি সরাসরি বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহন না করা
নিয়মিত মোবাইলকোট পরিচালনা ও টাস্কফোর্স মিটিং করা
টাস্কফোর্স মিটিং অনুষ্ঠিত হবার আগে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যত স্থানীয় সংগঠনগুলোকে অবহিতকরণ
পাবলিক প্লেস ও পরিবহণে জরিমানা বৃদ্ধি করা
জেলা, উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটিকে শক্তিশালী করা
বিভিন্ন এলাকায় তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন অপসারণ, লিফলেট বিতরণ এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের আইন লঙ্ঘনের শাস্তি ও জরিমানা বিষয়ে অবহিত করা
তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা
ধোঁয়াবিহীন তামাককেও করের আওতায় আনা
তামাকের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহী করা.