প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ প্রত্যয় বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে নির্দেশনা প্রদান করা হবে। ৩০ নভেম্বর ২০২০ সকাল ১১টায় মহাখালীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সভা কক্ষে ‘এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়নে কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এ এইচ এম এনায়েত হোসেন এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার অত্যন্ত ইতিবাচক। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বহুখাতভিত্তিক পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা সফল করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, দি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’র আয়োজনে সভায় আলোচনা করেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ কে এম আমিরুল মোর্শেদ খসরু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক। অনলাইনের মাধ্যমে সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-বাংলাদেশ এর হেড অব প্রোগ্রামস মো. শাফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র পরিচালক গাউস পিয়ারী প্রমূূখ। দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সভা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান ।
এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম তার প্রবন্ধে বলেন তামাক কোম্পানিগুলো দেশের আইন বাস্তবায়নে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি সিএসআর কার্যক্রমের আড়ালে নানাভাবে দেশের আইন ও নীতি প্রভাব বিস্তার করেছে। যা সার্বিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তামাক কোম্পানির এ সকল অবৈধ প্রভাব বিস্তাররোধে আচরণ বিধি তৈরি করা প্রয়োজন।
মো. শাফিকুল ইসলাম বলেন, তামাক একটি অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর পণ্য। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে কোম্পানীর প্রভাব থেকে নীতিগুলোকে সুরক্ষিত করতে হবে।
ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো নানা কৌশলে নীতিতে প্রভাব বিস্তার করে। দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ তামাক ব্যবহার করছে। এ বড় সংখ্যার মানুষকে তামাকের ঝুকি থেকে সুরক্ষায় প্রতিনি ইনিষ্টিটিউটকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে।
গাউস পিয়ারী বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তামাকের প্রসারে আইন, নীতি তোয়াক্কা করছে না। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচারণা চালাছে। নীতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে এখনই পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীরা তামাক কোম্পানির মুনাফার শিকার হবে।
সভায় আরো অংশ নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, লাইন ডাইরেক্টর, উপ-পরিচালকবৃন্দ। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি-ডিআইইউ, ডাস, অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো-ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।