English | Bangla
জাপান টোব্যাকো ফিরে যাও
সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। এমতাবস্থায়, বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে তামাক কোম্পানীকে দেশে তামাকের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া হলে জনস্বাস্থ্যকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “গো ব্যাক জাপান টোব্যাকো” শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে তরুনরা এই মত প্রকাশ করেন। 
 
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা কার্যক্রমের ফলে দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় দেশে জাপান টোব্যাকোকে নতুন করে ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্থ হবে। ক্ষতিকর তামাকজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশিত হতে পারে না। সারা বিশ্ব যখন তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে গ্রহণ করছে নানা ধরনের পদক্ষেপ এমন সময় আগ্রাসী জাপান ট্যোবাকোকে আকিজের সাথে মিলে বাংলাদেশে তামাকের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া সত্যি দুঃখজনক। 
 
বক্তারা আরো বলেন, তামাক কোম্পানীগুলোকে বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকারের দায়িত্ব রয়েছে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অন্তরায় সৃষ্টিকারী, অর্থনীতি এবং পরিবেশসহ সকল বিষয়ের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাক কোম্পানীর আর্থিক বিনিয়োগ এর প্রাধান্য কখনোই প্রত্যাশিত নয়। এসডিজি অর্জনে সফলতা পেতে এবং সর্বোপরি জনকল্যাণে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় বাস্তবায়নের পাশাপাশি আগ্রাসী তামাক কোম্পানীগুলোর বাজার সম্প্রসারণ নয়, নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হোক কঠোর পদক্ষেপ । 
 
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাপা’র জাতীয় কমিটির সদস্য মো. নাজিমুদ্দিন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, টিসিআরসি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. বজলুর রহমান, নবনীতা মহিলা কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক আতিকা হোসেন, হীল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেবুন্নেসা চৌধুরী, মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি মো. মাসুম হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও ইন্সটিটিউট অব ওয়েলবিয়িং, বায়োস্কোপ বাংলাদেশ, প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।