সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বে ঘোষিত প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউতে কার ফ্রি স্ট্রিট পালন করা হলো। গাড়িমুক্ত সড়ক কর্মসূচিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এর মৃত্যুতে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকাল ৮.০০ টায় মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে গাড়িমুক্ত সড়ক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছিলেন- “ঢাকায় গাড়ির ধারণক্ষমতা তিন থেকে চার লাখ। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ১১-১২ লাখ যান চলাচল করে। গণপরিবহন বিশেষ করে উন্নত বাস সার্ভিস এবং হাঁটার সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে”। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ এলাকায় পথচারীবান্ধব গাড়িমুক্ত সড়ক গড়ে তুলতে সেগুলো চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির ৩ নম্বর সড়ক এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিয়া সুলতানা সড়ক দুটি গবেষণার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে মেয়র আনিসুল হকের গৃহিত উদ্যোগগুলো তাঁকে চিরকাল আমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে। আজ ১ ডিসেম্বর ২০১৭, মানিক মিয়া এভিনিউতে গাড়িমুক্ত সড়ক কর্মসূচিতে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
গাড়িমুক্ত সড়ক কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহম্মদ বলেন- ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে বিশেষ করে ঢাকায় শৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মেয়র আনিসুল হক কাজ করেছেন। আমরা তাঁর গৃহিত কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। এছাড়া কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর কেস প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক এবং উপ-সচিব আনিসুর রহমান প্রমুখ। গাড়িমুক্ত সড়ক কর্মসূচিতে যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন, এবং শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।