English | Bangla
পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য শহরের স্বার্থে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ জরুরী
ঢাকা শহরে ব্যক্তিগত গাড়িতে ৭ শতাংশ ট্রিপ হয় এবং এজন্য সড়কের সত্তর ভাগ জায়গা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে। হাঁটা, সাইকেল, রিকশার সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব। ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শিশু, বৃদ্ধসহ সকলের জন্য বাসযোগ্য শহর তৈরির লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ জরুরী।
 
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০ মে ২০১৭, ধানমন্ডি ২৭ নং সড়কে (পুরাতন), সময় সকাল ১০:০০ টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা পর্যন্ত দি ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলবিয়িং, ক্যাম্পকুল এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্টের এর সম্মিলিত উদ্যোগে বিশ্ব প্রবেশগম্যতা দিবস উপলক্ষে "গাড়িমুক্ত শহর সবার জন্য" শীর্ষক প্রচারণা কর্মসূচিতে বক্তারা এই দাবী করেন। 
 
বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে প্রাইভেট কারের ব্যবহার বৃদ্ধি যানজটের অন্যতম কারণ। ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়, অপচয় হচ্ছে জ্বালানী এবং দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক ও বসবাসের পরিবেশ। শুধুমাত্র ঢাকায় নয়, বিশ্বের যেখানেই প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে সর্বত্র একই চিত্র দেখা যায়। প্রতিদিন নতুন প্রাইভেট কার ঢাকা শহরে সংযুক্ত হচ্ছে।
 
প্রতিবছর গাড়ী দূর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিতে পরিণত হচ্ছেন এবং অনেকে মারা যাচ্ছেন। তাছাড়াও প্রতিনিয়ত মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে পোহাতে হচ্ছে অনেক প্রতিবন্ধকতা। সাধারণ মানুষের ভিড়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা চলাচলের ক্ষেত্রে আরো বেশি সম্যস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। প্রাইভেট কারের বৃদ্ধিতে রাস্তায় যানজট বাড়ছে, পার্কিং সুবিধা দিতে গিয়ে নাগরিকদের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর মত জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী ম্যান্ডি ইন্দ্রাণী মুখুটির সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা শানজিদা আক্তার, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর আইনি পরামর্শক এ এন এম মাসুদ বিল্লাহ ভূঁইয়া এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ক্যাম্পকুলের অংশগ্রহকারীগণ।