তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের পরবর্তীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের সকল পরিবহনে ধূমপানমুক্ত ঘোষনার পাশাপাশি ষ্টিকার স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় পূর্বের স্থাপিত ষ্টিকারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুণরায় স্থায়ীভাবে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিআরটিসি। ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯টায় কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জনাব মো. নজরুল ইসলাম, ডিটিসি এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সৈয়দ আহম্মদ এবং বিআরটিসি এর চেয়ারম্যান জনাব ফরিদ আহমেদ ভুইয়া একটি বাসে স্থায়ীভাবে “ধুমপানমুক্ত পরিবহন” সাইন স্থাপন এর মধ্যদিয়ে এ উদ্যোগের শুভ সূচনা করেন।
এ সময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব ফরিদ আহমেদ ভুইয়া বলেন, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পূর্ব থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে বিআরটিসি । আজকের এই উদ্যোগ তারই অংশ। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়ন এবং পাবলিক পরিবহনে ভ্রমণকারীদের ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যহত থাকবে। চেয়ারম্যান বিআরটিসির সাথে সমন্বিতভাবে এধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর একটি প্রতিনিধিদল বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করে ও পরবর্তীতে বিআরটিসির আওতাধীন সকল পরিবহনকে ধুমপানমুক্ত ঘোষনা এবং সেইসাথে প্রতিটি বাসে “ধুমপানমুক্ত পরিবহন” লেখা সাইন স্থাপনের অনুরোধ জানালে, বিআরটিসির সকল বাসে “ধূমপানমুক্ত পরিবহন” লেখা সাইন ষ্টিকারের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় পূর্বের ষ্টিকারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়াতে এবার স্থায়ীভাবে বাসগুলোর গায়ে এবং ভিতরে বিভিন্ন স্থানে “ধূমপান মুক্ত পরিবহন” কথাটি স্ক্রিণ প্রিন্ট এর মাধ্যমে লিখে দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, প্রদেশ এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউসুফ আলী, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান ও নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল এর গবেষণা সহকারি মো. মহিউদ্দিন, এইড ফাউন্ডেশনের এডভোকেসি অফিসার রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।