English | Bangla
তামাক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকবে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ এসোসিয়েশন
বাংলাদেশের এক কোটির বেশি নারী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। প্রাপ্ত বয়স্ক  ১কোটি ৩৪ লক্ষ নারী  সাদা পাতা, জর্দা, গুলসহ নানা প্রকার তামাক ব্যবহার করে। এছাড়া ৭ লক্ষ প্রাপ্তবয়সী নারী ধূমপান করে। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের প্রায় ৩% তামাক ব্যবহার করে। ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলোর প্রতারণামূলক প্রচারণায় শহরাঞ্চলে তরুনীরা ধূমপানে আসক্তি বাড়ছে। নারীদের তামাক সেবন ও ধূমপানে নিরুৎসাহিত এবং পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রদান জরুরি। ১৯ জুন সকাল ১১টায় বেইলি রোড, বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠন ও বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশনয়ের কর্মকর্তাদের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ নারীদের লক্ষ্য করে তামাক কোম্পানীর অবৈধ প্রচারণা জনস্বাস্থের জন্য বিরাট হুমকি বলে আশংকা ব্যক্ত করা হয়।
 
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশনয়ের মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশনের উপ-জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) প্রফেসর  ড. ইয়াসমিন আহমেদ, আঞ্চলিক কমিশনার রওশন  আরা ইসলাম,  জেনারেল সেক্রেটারী তানজিনা বিনতে মোশারফ, জনসংযোগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবিনা বেগম, প্রশিক্ষক সালেহা বেগম, প্রশিক্ষণ কমিশনার রীতা জেস্মিন এবং জুনিয়র প্রশিক্ষক মোসা: কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম ও শারমিন আক্তার, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী হাসিবুল হকসহ তামাক বিরোধী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
ড. ইয়াসমিন আহমেদ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের পর পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান ব্যবহার অনেক কমে গেছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তামাক কোম্পানীর প্রচারণা ও প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল স্থানে তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ গালস্ গাইড জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
 
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানীগুলো মূল লক্ষ্য মুনাফা। তাই তারা নারী-পুরুষ শিশুসহ সবাইকে তামাক ব্যবহারে আসক্ত করে মুনাফা বাড়াতে চায়। ইদানিং বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা মেয়েদের ধূমপানে আসক্ত করাতে প্রচারণা চালাছে। তরুনীরা কোম্পানীর অবৈধ প্রচারণার ফাঁদে পড়ে ধুমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। নারীদের লক্ষ্য করে কোম্পানীর এই অবৈধ বন্ধে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনের এগিয়ে আসতে হবে।