English | Bangla
সর্বত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান
সমাজে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সার্বজনীন অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই মানবাধিকার দিবসের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ করে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ১০% প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পার্ক, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থানসহ সকল গণস্থাপনাগুলোতে প্রবেশগম্যতার বিষয়টি এখনও উপেক্ষিত। বর্তমানে আমাদের দেশে পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব কোন অবকাঠামো নেই। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সর্বজনীন প্রবশগম্যতা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি রাষ্ট্রকে আরও তৎপর হতে হবে।  ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ বিকেল ৩.৩০ ঘটিকায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ধানমন্ডি লেক পার্ক এর রবিন্দ্র সরোবরে লিফলেট ক্যাম্পেইনে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
 
লিফলেট ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সর্ব সম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসটি স্বীকৃত হয়। প্রতি বছর জাতিসংঘ এই দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ঝঃধহফ ঁঢ় ভড়ৎ ঝড়সবড়হব'ং জরমযঃং ঞড়ফধু”. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্তকরণে তাদের প্রবেশগম্যতা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে লক্ষ্যে  শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভৌত অবকাঠামো, যোগাযোগ এবং সর্বপরি বিনোদনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সার্বজনীন প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে পার্ক, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থানসহ সকল গণস্থাপনাগুলোতে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সর্বজনীন প্রবেশগম্যতা না থাকার কারণে অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, বিনোদনসহ বিভিন্ন অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সর্বস্তরে প্রবেশগম্যতা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনের চাকায় নতুন গতি এনে দিতে পারে। 
 
বক্তারা আরো বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, সুস্থ সবল জাতি গঠনে পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের ভূমিকা অতুলনীয়। বিষেশ করে নারী শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিনোদন অতি জরুরী। কিন্তু মহানগরের পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব নয়।  ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বসবাস করার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
 
লিফলেট ক্যাম্পেইনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার নাজনীন কবির, সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা তালুকদার রিফাত পাশা, শামীম জাহান, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং সানজিদা প্রমুখ।