ঢাকা শহরে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় যানজট সমস্যা সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একটি শিশুর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার এই যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। স্কুলে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে যানজট হ্রাস পাবে। ভালো থাকবে শিশুর স্বাস্থ্য, কমবে পরিবেশ দূষণ এবং যাতায়াত খরচও সাশ্রয় হবে। এজন্য প্রতিটি কমিউনিটিতে সমমানের স্কুল থাকা এবং স্থানীয় স্কুলে শিশুদের পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। যাতে করে অল্প দূরত্বে শিশুরা হেঁটে স্কুলে যেতে পারে। সম্প্রতি সরকার এ বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয়দের জন্য স্কুলে ৪০ শতাংশ কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের অল্প দূরত্বের মধ্যে হেঁটে স্কুলে যাতায়াতের পথকে সুগম করা যায়। পাশাপাশি যারা হেঁটে যাতায়াত করে তাদের হাঁটার সুবিধার্থে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
মোহাম্মদপুরের মনসুরাবাদে অবস্থিত সুইট বার্ড স্কুল এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে “হেঁটে যাই বিদ্যালয়, দেহ-মন সুস্থ রয়” শ্লোগানে “সুস্থতায় স্কুলে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ চাই” কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুইট বার্ড স্কুলের ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষাথীদের মাঝে ২১ জুলাই ২০১৬ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এবং জানা যায় স্কুলের প্রায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী হেঁটে যাতায়াত করে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মো আতিকুর রহমান হাঁটার উপকারিতা, প্রতিবন্ধকতা ও তা সমাধানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন। শিক্ষার্থীদেরও হাঁটার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন করা হয়। হাঁটার স্বাস্থ্যগত উপকারিতার পাশাপাশি, পরিবেশ অর্থনীতি এবং সামাজিক বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। শিক্ষার্থীরা ওয়াকিং ক্লাব গঠন এবং লেটার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে হাঁটার জন্য নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সুইট বার্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেসমিন নাহার। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ট্রাস্ট) এর প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার এবং সহকারি এডভোকেসি কর্মকর্তা নাঈমা আকতার।