English | Bangla
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথভাবে বিশ্ব কারমুক্ত দিবস পালনের উদ্যোগ

সত্তরের দশকে জ্বালানী সঙ্কট মোকাবিলায় ইউরোপে বিশ্ব কারমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস, যানজট সমস্যা সমাধান এবং নগরকে বাসযোগ্য করতে দুই হাজার সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য বর্তমানে প্রতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর প্রায় চার হাজার শহরে দিবসটি পালন করা হয়। এছাড়াও বোগোটা, জাকার্তাসহ আরো অনেক শহরে কারমুক্ত সপ্তাহ পালনের রেওয়াজ চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ২০০৬ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। যার অন্যতম উদ্দেশ্য গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাইভেট কারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। এ বছরই প্রথম সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথভাবে দিবসটি পালনের জন্য উদ্যোগ করা হয়েছে। 
 
৯ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১১টায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর উদ্যোগে এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সহযোগিতায় নগর ভবন (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) এর ডিটিসিএ সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালনের স্থান হিসেবে ঢাকা শহরে যথাক্রমে মানিক মিয়া এভিনিউ, হাতিরঝিল এবং শাহবাগ এর নাম প্রস্তাব করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য ২ ঘন্টা সময়ের জন্য নির্ধারিত একটি সড়ক যান চলাচল বন্ধ রেখে নানা ধরনের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা পর্ব থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়। এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
 
উক্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ এর সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আলম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নির্বাহী সদস্য, মহিদুল হক খান, কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ডিটিসিএ- এর ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন তারুফদার, ট্রাফিক দক্ষিণের এডিসি সোমা হাপাং, ডিটিসিএ- এর ট্রান্সপোট বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এবং ইন্সটিটিউট অব ওয়েলবিং এর পরিচালক মীর সাফি প্রমুখ।