English | Bangla
শিশু ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন
আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার ডিক্লারেশনে বলা হয়েছে, শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার। শিশুদের ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ এবং আক্রান্ত শিশুদের নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে এ দিবসটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিকাল ৪ টায় অমর একুশে বই মেলা প্রাঙ্গনে  ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র উদ্যোগে “শিশু ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি করা হোক” শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
 
ক্যান্সার শিশুদের জন্য একটি নীরব ঘাতক হিসাবে চিহ্নিত। পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত যত শিশু রয়েছে তার ৯০ভাগই দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করে। তথ্য মতে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক অনকোলজি ন্যাশনাল ডাটাবেইজ (পিওএনডি) সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ১২ হাজার আর সমগ্র দুনিয়ায় ২ লাখের কাছাকাছি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মাত্র ৫ শতাংশ বংশগত সূত্রে জিন মারফত আক্রান্ত হয়। বাকি প্রায় ৯৫ শতাংশ কিন্তু জন্ম পরবর্তীকালে পারিপার্শ্বিক কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পারিপার্শ্বিক কারণগুলোর মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার অন্যতম। 
 
সারাবিশ্বে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এর উপর কর বৃদ্ধি একটি অন্যতম উপায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানীগুলো সিগারেট ক্রয়ে প্রলুদ্ধকরনের উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী প্রদাণ করে শিশু-কিশোরদের তামাক সেবনে প্ররোচিত করছে। বাজারে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য কম থাকায় এবং বিনামূল্যে উপহার সামগ্রী প্রদানের কারণে  শিশুরা তামাকজাত দ্রব্য ক্রয় করে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। 
 
তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য এবং উচ্চ হারে কর বৃদ্ধি একটি কার্যকর উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে করারোপের ফলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রকৃত মূল্য শতকরা ১০ভাগ বৃদ্ধি পেলে নি¤œ ও মাঝারী আয়ের দেশের লোকের তামাকের ব্যবহার শতকরা ৮ ভাগ হ্রাস পায়। শিশুসহ সকল বয়সীদের সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও এর উপর উচচাহারে করারোপ এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে ক্যান্সোরের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
 
কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারি নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার, সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, ডকুমেন্টেশন অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল’র প্রকল্প কর্মকর্তা, মো. মহিউদ্দিন, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা, নবনিতা মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আতিকা আহসান, স্বপ্নের সিঁড়ির সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা, বাঁচতে শিখো নারীর নির্বাহী পরিচালক  ফিরোজা বেগম।