সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করলেও তামাক কোম্পানীগুলো নানা কৌশলে জনগনকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করে আসছে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিতকরনের অংশ হিসাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থল গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হলে যত্রতত্র স্বাস্থ্যহানীকর এই পন্য বিক্রয় নিষিদ্ধে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার দাবী জানিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী এর অর্ন্তগত সংগঠন এইড ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, মানবিক, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল, গ্রীণমাইন্ড সোসাইটি ও সমমনা কয়েকটি তামাক বিরোধী সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত ইতিবাচক হলেও তামাক কোম্পানীগুলো নানা কৌশলে আইন লঙ্ঘন করছে। ধানমন্ডির শংকর বাসষ্ট্যান্ড থেকে রাইফেলস স্কয়ার মাত্র দেড় কিলোমিটার জায়গায় ৯০টির অধিক তামাকজাত দ্রব্যের দোকান রয়েছে। এ চিত্র শুধু ধানমন্ডির নয়। সারাদেশেই তামাক কোম্পানীগুলো যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়স্থল গড়ে তুলছে। সহজ লভ্যতা ও সহজ প্রাপ্যতার জন্য এসকল এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছেলেমেয়েরা তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উৎসাহী হয়ে উঠছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে যত্রতত্র বিক্রয় নিষিদ্ধে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার জোর দাবী জানান তামাক বিরোধী জোটের নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যেই মেহেরপুর, যশোরসহ দেশের কয়েকটি পৌরসভা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সার্বিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে এবিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী বলে মনে করেন বক্তারা।
প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন গ্রীণমাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডি.এম সাকলায়েন, এইড ফাইন্ডেশনের ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা কাজী হাসিবুল হক, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল’র প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা, মানবিক এর তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুমন শেখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল। কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র সহকারি নেটওয়ার্ক অফিসার শুভ কর্মকার।