১৫ নভেম্বর বিকাল ৪টায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি লেকে রবীদ্র সরোবর চত্ত্বরে ডায়াবেটিস সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর অয়োজনে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র পরিচালক গাউস পিয়ারি, ডিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী সোহেল রানা, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডিএম সাকলায়েন, প্রদেশ’র নির্বাহী পরিচালক অনাদী কুমার মন্ডল, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক, ডাব্লিউবিবি ট্রাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ রহমান ও সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমূখ।
গাউস পিয়ারি বলেন, বর্তমানে দেশে মৃত্যুর প্রথম পাঁচটি কারণের একটি ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে আজীবন এ রোগ বয়ে বেড়াতে হয়। এ রোগের চিকিৎসায় ব্যয় করতে হচ্ছে প্রচুর অর্থ ও সময়। এ রোগ ধীরে ধীরে শরীরের লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং স্ট্রোক ও হার্ট এটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
কাজী সোহেল রানা বলেন, স্থূলতা ডায়বেটিস রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এজন্য নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটামত শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার। নগর জীবনে আলাদা করে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের সুযোগ পাওয়া যায় না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মস্থলে যাতায়াত, বাজার করা বা নিকটজনদের সঙ্গে সাক্ষাতে স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াত ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও শরীরের জন্য ভাল।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, প্রায় ৯০ভাগ মানুষের টাইপ ২ ডায়বেটিস হয়, এজন্য অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নেতিবাচক জীবানাচার দায়ী। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে ফাস্টফুড-জাঙ্কফুডের আধিক্য, চিনিনির্ভর ক্ষতিকর পানীয় (কোমল পানীয়, এনার্জি ডিঙ্কস ও মোড়কজাত কেমিকেল জুস) গ্রহণের প্রবণতা ডায়বেটিসের জন্য দায়ী। এসব ক্ষতিকর খাবার বর্জন ও এসকল খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা, সহজলভ্যতা ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী।
ডিএম সাকলায়েন বলেন, শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি বা চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিসসহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন। খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়ামের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে খেলার মাঠ, পার্ক, উন্মুক্ত স্থান গড়ে তোলা দরকার। পাশাপাশি বিদ্যমান মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।