প্রতিবছর অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার পেছনে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে। ভয়াবহ এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বারোপ প্রয়োজন। আজ বিকাল ৩টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, ডঃ গওহর রিজভী এর সাথে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর একটি প্রতিনিধিদল স্বাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
ডঃ গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভবিষ্যতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের দিকে লক্ষ্য রাখার বিষয়ে আশ্বাস প্রদাণ করেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর প্রেসিডেন্ট মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৬.৪ মিলিয়ন বা ৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে শতকরা ৮০% অপরিণত হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ও ডায়বেটিস এবং ৪০% ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য। সুতরাং চিকিৎসা কেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চেয়ে রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অধিক হারে গুরুত্ব প্রদাণ করা জরুরী।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে মহান জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমদানীকৃত এবং উৎপাদিত সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর আরোপসহ বিগতদিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেবার অনুরোধ জানানো হয়।