তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিকে কোম্পানির প্রভাবমূক্ত রাখাতে হবে, স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে অর্থায়ন জরুরি
আইন ও নীতিমালাকে তামাক কোম্পানীর প্রভাবমুক্ত রাখতে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী কার্যক্রমের অর্থায়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা পরিষদের বাজেটে বরাদ্ধ দেয়া প্রয়োজন। গত ১৮ মে, ২০১৬, সকাল ১১ টায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, সিমান্তিক ও দ্যা ইউনিয়ন এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এই আহ্বান জানানো হয়। সেমিনারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি এর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন শারমিন আক্তার রিনি প্রকল্প কমকর্তা ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো: জামাল উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. গৌর মনি সিন্হা, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: মতিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট সৈয়দ মো: আমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিন সিলেট) নুরুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক, সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক শারমিন আক্তার রিনি বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো নানা ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে আইন ও নীতি বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। আইন ও নীতিকে তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত রাখতে এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। এফসিটিসি ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির সাথে সকল ধরনের আলোচনা উম্মুক্ত হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতিবছর ৬৪ লক্ষ মানুষ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য আইনসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে যুবদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি, তাই এখন যুবকদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাতে আগামী দিনে একটি সুস্থ্য সবল জাতি পাওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসে পাশে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। আর এ লক্ষে প্রথমে সকল তামাক বিক্রয়কারীদের লাইসেসিং-র আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপুর্ণ কার্যক্রম। তামাক বিরোধী আন্দোলন দীর্ঘদিনের। এ আন্দোলন বর্তমানে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলন স্থানীয় পর্যায়ে জোরদার করতে হবে। তামাক হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সারের কারণ। এ সকল রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে তামাক ব্যবহার কমাতে হবে।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩-র বাস্তবায়ন জরুরি। সিলেট বিভাগয়ী প্রশাসন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে। প্যাকেটে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নিশ্চিতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জেরাদার করা হয়েছে।