English | Bangla
এফসিটিসির আর্টিকের ৫.৩-র বাস্তবায়ন ও স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে অর্থায়ন জরুরি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নীতিমালাকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয়  পর্যায়ে তামাক বিরোধী কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী কার্যক্রমের অর্থায়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা পরিষদের বাজেটে বরাদ্ধ দেয়া প্রয়োজন। গত ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১ টায় খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, সিয়াম ও দ্যা ইউনিয়নএর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এই আহ্বান জানানো হয়। সেমিনারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি এর সভাপতিত্বে এবং শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলমএবং বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস, খুলনারসিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, খুলনার দৈনিক অর্নিবাণ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ্য আলী আহম্মদ,খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান রাসেল, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল। 

 
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো নানা ধরনের অপপ্রচারেরমাধ্যমে আইন ও নীতি বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। আইন ও নীতিকে তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত রাখতে এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩  অনুসারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। এফসিটিসি ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির সাথে সকল ধরনের আলোচনা উম্মুক্ত হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতিবছর ৬৪ লক্ষ মানুষ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।  বর্তমানে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য আইনসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।
 
গাউস পিয়ারী বলেন,বাংলাদেশে যুবদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি, তাই এখন যুবকদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাতে আগামী দিনে একটি সুস্থ্য সবল জাতি পাওয়া যায়। আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসে পাশে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। আর এ লক্ষে প্রথমেসকল তামাক বিক্রয়কারীদের লাইসেসিং-র আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
 
খুলনার দৈনিক অর্নিবাণ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আলী আহম্মদ বলেন, বিশ^কে বসবাসযোগ্য করতে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। তামাক বিরোধী আন্দোলন দীর্ঘদিনের। এ আন্দোলন বর্তমানে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলন স্থানীয় পর্যায়ে জোরদার করতে হবে। সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তামাক হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সারের কারণ। এ সকল রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে তামাক ব্যবহার কমাতে হবে।  
 
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের অনেক ইতিবাচক অগ্রগতি রয়েছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যের বিষয়ে অসচেতনতা রয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপুর্ণ কার্যক্রম। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের জরিমানার ক্ষমতা প্রদান করা হলে আইন বাস্তবায়ন অনেক সহজতর হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে খুলনা সিটি কর্পোরেশন সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে। 
 
খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩-র বাস্তবায়ন জরুরি। খুলনা জেলা প্রশাসন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে। প্যাকেটে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নিশ্চিতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জেরাদার করা হয়েছে। খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান রাসেল বলেন, পাবলিক পরিবহন ও থানাকে ধূমপানমুক্ত করতে পুলিশ বিভাগের পক্ষ হতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।