এশিয়াসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নারীদের অধিকার নানাভাবে লঙ্ঘিত হয়। কোথাও সংস্কৃতি, কোথাও ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হয়। নারীদের শিক্ষা অর্জন ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে পরিবারে সহায়ক ভূমিকা জরুরি। ৬ জানুয়ারী ২০১৬ সকাল ১১টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং এশিয়ান উইনির্ভাসিটি ফর উইমেন এর যৌথ আয়োজনে ‘ জেন্ডার ইস্যুজ: এন ইন্টারন্যাশনাল পারস্পেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে উপরোক্ত বক্তব্য উঠে আসে।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কৈবর্ত সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বাংলাদেশের পাশাপাশি আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও শ্রীলংকাÑ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ফর উইমেন এর ১৪জন শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ দেশের নারীদের সমস্যাসমূহ নাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং এই সব সমস্যার সমাধানে কিভাবে তারা কাজ করতে চায়Ñ তা আলোচনায় উঠে আসে। ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক আলেয়া পারভীন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোমা দে, স্ট্যাম্পর্ফোড ইউনির্ভাসিটির ডিপার্টমেন্ট অব এনভাইরনমেন্ট সাইন্স এর সহযোগী অধ্যাপক জুসি ডায়না বিশ্বাস, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজনীন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন একলাব এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. রেজা হাবিব, ডেমোক্রেসি ওয়াচ-এর প্রকল্প কর্মকর্তা আল্লামা দিদার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল উইমেন ল-ইয়ার্স এসোসিয়েশন (বিএনডব্লিউএলএ) এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী এডভোকেসি অফিসার তানজিলা চৌধুরী, নাইমা আক্তারসহ আরও অনেকে। এতে সঞ্চালনা করেন হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন।
সোমা দে বলেন, নারীরা পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নীরবে অবদান রাখছেÑতার স্বীকৃতি করা দরকার। জুসি ডায়না বিশ্বাস বলেন, ঘরে ও বাইরে নারীদের সবসময় কাজের মধ্যে থাকতে হয়। গৃহস্থালি কাজে নারীদের সহযোগিতায় পুরুষদের এগিয়ে আসা উচিত।
অধ্যাপক আলীয়া পারভীন বলেন, নারীদের সমস্যাগুলো খুঁেজ তা সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। শিক্ষায় নারীদের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
দেবরা ইফরমসন বলেন, কোন ধর্মই নারীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে না। কিন্তু যারা ধর্মকে মানুষের মাঝে তুলে ধরেÑতারা কখনও কখনও ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সব ধর্মেই এমন গোড়ামি লক্ষ্য করা যায়। ধর্মীয় গোড়ামি দূর করতে মানুষকে শিক্ষিত হওয়া দরকার।
সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনার সমাপ্তি টানেন দেবরা ইফরমসন।