প্রতিনিয়ত রাস্তা, বাজার, বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও দোকানের সামনে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকার পরিবেশ ও রাস্তা নোংরা করছি। ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এলাকার সৌন্দর্য্যহানিও ঘটছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন একটি এলাকা এলাকাবাসীর মর্যাদা বৃদ্ধি করে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হলে এলাকার পরিবেশ সুন্দর থাকবে। সকলে মিলে আমাদের এলাকাকে আবর্জনামুক্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও সুন্দর বসবাস উপযোগী এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আজ সকাল ১১টায় রায়ের বাজার সাদেক খান রোড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পরিচালনাকালে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত শহরের দাবিতে এক মানববন্ধনে বক্তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যেক্ত করেন।
রায়ের বাজার ৩৪ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসির আয়োজনে ও ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, আলহাজ আবদুল হাশেম খান-ইউসেফ স্কুল, আলিফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুল, সাক্সেস মডেল হাই স্কুল, সেফ স্কুল, কনফিডেন্স আইডিয়াল স্কুল, শহীদ বুদ্ধিজীবী আইডিয়াল একাডেমী, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সহযোগীতায় আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ৭টি স্কুলের প্রায় ৮০০শত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনের সভাপত্বি করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান। পবা’র অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী আতিক মোর্শেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল’র অধ্যক্ষ মনির মান্নান, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, সমাজসেবক মঞ্জুর হাসান দিলু, সাকসেস মডেল হাই স্কুল’র প্রধান শিক্ষক ওসমান আলী, শহীদ বুদ্ধিজীবী আইডিয়াল একাডেমী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, সেফ স্কুল’র প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। নোংরা শহরের তালিকা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। রায়ের বাজার ৩৪ নং ওয়ার্ডকে আমরা একটি আদর্শ আবর্জনামুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। এলাকায় বসবাসরত এলাকাবাসিকে ময়লা-আবর্জনা যত্রত্রত ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাড়ি, বাজার ও দোকানের সামনের অংশ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া বাড়ির প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা প্যাকেট করে ময়লার ভ্যানে দায়িত্বে ফেলার অভ্যাস করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশনকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দায়ি না করে আমাদের সকলকে এলাকা সুন্দর রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়মিতভাবে ভোর হওয়ার পূর্বে ময়লা অপসারন ও ঝাড়–র ব্যবস্থাসহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, থুথু, পানের পিক, খাবারের প্যাকেট, বোতল, প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য ফেলা বন্ধে পুলিশের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও এলাকায় পর্যাপ্ত ওয়েস্টবিন স্থাপন করতে হবে।
বক্তারা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, স্কুলের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, রাস্তায় চলাচলের সময় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলা, অন্যকে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত রাখতে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, আসন্ন উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিযোগী সকল মেয়র ও কমিশনারদের শহর পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্য সম্মত রাখার অঙ্গীকার করতে হবে। পাশাপাশি সে অঙ্গীকার যেন নির্বাচিত হওয়ার পর বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।