তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ঢাকার হাজারীবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিগারেটের দোকান থেকে তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা করিম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
২৬ নভেম্বর দুপুর ১২:০০ টায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় সিগারেট বিক্রয়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫” (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর ধারা ৫ এর উপধারা ৪ অনুযায়ী অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমান আদালত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণসহ দোকানীদেরও সতর্ক করে দেয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে অত্র এলাকায় জনগণের মাঝে ব্যাাপক সাড়া পড়ে এবং সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করে ও স্বতস্ফুর্তভাবে সমর্থন জানায়।
বিভিন্ন তামাক কোম্পানি ছোট ছোট দোকানীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে প্রলুব্ধ করছে বলে সিগারেট বিক্রেতারা জানায়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত এর ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা করিম সকলকে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা করিম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার রিনি এবং নেটওয়ার্ক অফিসার শুভ কর্মকার।
বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা করিম আরো বলেন, সরকার জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করেছে। আইন মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিক এর দায়িত্ব। আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা বা আইন লঙ্ঘণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। আজ ভ্রাম্যমান আদালত এর মাধ্যমে আইন লঙ্ঘণকারীদের শাস্তি প্রদান করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ এই আইন পূণরায় লঙ্ঘণ করলে দ্বিগুণ সাজা প্রদান করা হবে।
তামাক বিরোধী কর্মীরা এ সময় সাধারণ মানুষদের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ষ্টিকার লিফলেটসহ প্রচারপত্র বিতরণ করেন।