গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে লালবাগ কেল্লার প্রাচীর ভেঙ্গে কেল্লার ভিতরে পার্কিং অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এবং গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে তা প্রচার পায়। এই তৎপরতায় একটি রিট দায়ের করা হলে মহামান্য আদালত কর্তৃক কেল্লার ভিতর পার্কিং অবকাঠামো নির্মাণ ২৪ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ করা এবং কেল্লার পূর্বের অবস্থা কেন ফিরিয়ে আনা হবে না এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করেন। 4 জুলাই 2015 সকাল ১১টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের নেতৃত্বে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন(পবা), গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের একটি দল সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক কেল্লার প্রাচীরের ভেঙ্গে ফেলা অংম পুন:নির্মাণ করছে। তবে প্রাচীরে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হলে আগের উপকরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন। পাশাপাশি দ্রুততার সাথে ভিতরের বাগান তৈরির আহ্বান জানানো হয়।
কেল্লা পরিদর্শনে আরো দেখা যায়, প্রাচীরটির দুইপাশে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে মাঝে ইট দিয়ে নির্মাণ করার কাজ চলছে। এছাড়া কেল্লার ভিতরে যে পার্কিং অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছিল তা এখনও পূর্বের অবস্থায় বহাল রয়েছে। প্রাচীরটির পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হলে বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিদর্শক দল। এছাড়া অতিসত্ত্বর এর ভিতরে যে পার্কিং অবকাঠামো রয়েছে তা ভেঙ্গে সেখানে পুন:রায় বাগান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আলতাফ হোসেন। সেটিও দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন হবে বলে পরিদর্শন দল আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের নেতৃত্বে পরিদর্শন দলে অংশগ্রহন করেন স্থানীয় মহিলা কমিশনার আলেয়া পারভীন রনজু, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটের মহাসচিব আমির হাসান, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু প্রমূখ।