০৫ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবস। ১৯৮৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪০তম অধিবেশনে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারকে 'বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তারই ফলশ্র“তিতে ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব বসতি দিবসের লক্ষ্য হচ্ছে বসবাসের পরিবেশ এবং প্রত্যেকের জন্য একটি বাসস্থান থাকাসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের সরকারকে বসবাসের পরিবেশ ও সংশ্লিষ্ট সমস্যার ওপর মনোযোগে উৎসাহিত করা। প্রতি বছর সুনির্দিষ্ট একটি শ্লোগান নির্ধারন করে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছরে শ্লোগান নির্ধারন করা হয়েছে “সবার জন্য উন্মুক্ত স্থান” । ইতিমধ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রায় উন্মুক্ত স্থানকে প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের সার্বজনিক নিরাপদ ব্যবহার, সর্বব্যপি প্রবেশযোগ্য সবুজ উন্মুক্ত স্থান বিশেষকরে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। “বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৫” উৎযাপন উপলক্ষ্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ধানমন্ডি কচিকন্ঠ স্কুল, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটারবাংলাদেশ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে জাফরাবাদ রায়েরবাজার বৈশাখী খেলার মাঠে দুপুর ৩.০০ টায় নানা রকম খেলাধূলা ( লুডু, হাঁড়ি ভাঙ্গা, সুই সুতা, ছবি আঁকা, বিস্কুট দৌড়, মার্বেল দৌড়, কলা খাওয়া, চেয়ার খেলা) এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বর্তমানে আমাদের দেশে যে সকল উন্মুক্ত স্থান রয়েছে সেগুলো সকলের ব্যবহার উপযোগী নয়। এগুলোতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বান্ধব কোন অবকাঠামো নেই। ফলে দেশের বেশিরভাগ জনগণ উন্মুক্ত স্থান ব্যবহারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এগুলোকে সবার ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। জনস্বাস্থ্য, সামাজিকতা, পরিবেশ, অর্থনীতি বিবেচনায় উন্মূক্ত স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মহানগরগুলোতে এই সুবিধা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। নগরবাসীর শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপরএর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ব্যায়ামের অভাবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
সুস্থ পরিবেশে সামাজিকতা জন্য খেলারমাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানবৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা হলে নগরগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বসবাসের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান। এজন্য বিদ্যমান উন্মূক্ত স্থানের সুযোগ-সুবিধা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতের পথকে সুপ্রসস্ত করতে আইন, নীতিমালা, অবকাঠামো এবং জনসচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, হেলথ ব্রীজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরসন, ওয়ার্ক ফর এ বটোর বাংলাদেশ ট্রাষ্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, প্রোগাম ম্যানেজার নাজনীন কবীর, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের সম্মানতি অধ্যক্ষ মনির স্যার প্রমুখ।