তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারনা বন্ধে ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত দুটি প্রতিষ্ঠান। ২০ আগষ্ট ২০১৫ বিকাল ৪টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøউবিবি) ট্রাস্ট এবং অরুণোদয়ের তরুন দল এর যৌথ উদ্যোগে জাফরাবাদ (দুর্গা গলি মন্দির), আলিফ মডেল স্কুল এর শ্রেনী কক্ষে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রিমেসড এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আল মাসুদ এবং সঞ্চালনা করেন অরুণোদয়ের তরুন দল এর সদস্য মোঃ মিরাজ হোসেন। সভায় বক্তব্য রাখেন অরুণোদয়ের তরুন দল এর সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবু, ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী এডভোকেসী অফিসার শুভ কর্মকার এবং সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান। সভায় অরুণোদয়ের তরুন দল এর সদস্য হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ বরাত হোসেন, তাওহিদুল ইসলাম এবং মোঃ হোসেইন।
তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে শুভ কর্মকার বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকল ধরণের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কোম্পানিগুলো নানাভাবে আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। বর্তমানে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় একটি কৌশল। সরকার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণ করলেও কোম্পানিগুলো দোকানীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদান করছে। গে¬াবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাট্স) এর তথ্যমতে, বাংলাদেশে চার কোটি নারী কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। অধূমপায়ী নারী, শিশুদের রক্ষায় পাবলিক পে¬স ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখা দরকার।
সভার সভাপতি মোঃ আল মাসুদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ফলে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আইনে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের পাশাপাশি ১৮ বছরের নিচে কারো কাছে এবং কারো দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধের কথা বলা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বাস্তবায়নে তিনি তার সংগঠন এর পক্ষ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহিত করছে। আইনে অনুসারে তামাকজাতদ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আমাদের কল্যাণে প্রণীত সুতরাং আমরা চাইলে এ আইন বা¯Íবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারি।
তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে আবু রায়হান বলেন, সরকার তামাক চাষীদের তামাক চাষের পরিবর্তে বিকল্প লাভজনক ফসল চাষ করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।