স্বাস্থ্য আমাদের মৌলিক অধিকার। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর মূল লক্ষ্য হল রোগ প্রতিরোধ করা। রোগ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। বাংলাদেশে হৃদরোগ, ষ্ট্রোক, ক্যান্সার, শ্বাসনালীর বাধাজনিত রোগ এবং ডায়বেটিস এই কয়েকটি অসংক্রামক রোগেই প্রায় অর্ধেক মৃত্যু সংঘটিত হয়। সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে এই সম¯Í রোগের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক পরিমাণে হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য তামাকজাত পণ্যের উপর স্বাস্থ্য কর হিসেবে সারাচর্জ থেকে প্রাপ্ত অর্থের সদ্ব্যবহার জরুরী। একটি স্বতন্ত্র সংস্থার অধীনে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন, তদারকি ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেটি সম্ভব। সেক্ষেত্রে “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” গঠন জারুরী। ১৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম’র সাথে স্বাক্ষাতে এই আহŸান জানায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।
মহাপরিচালকের সাথে স্বাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র ন্যাশনাল এডভোকেসি কর্মকর্তা সৈয়দা অনন্যা রহমান, মিডিয়া এডভোকেসি কর্মকর্তা সৈয়দ সাইফুল আলম, মায়ানমার এর স্বেচ্ছাসেবী নিয়েন লিন কেও ও প্রতিনিধি আবু রায়হান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অসংক্রামক রোগ (হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস) অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক ব্যবহার বন্ধ, কায়িক পরিশ্রম বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমেই এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে তামাকজাত পণ্যের উপর ১% স্বাস্থ্য কর হিসাবে সংগৃহিত সারচার্জের অর্থে রোগ প্রতিরোধে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করতে হবে। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের মূল কাজ হবে কর্মপন্থা নির্ধারণে গবেষণার আলোকে সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ প্রদান, এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা, রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান।
এতে অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, দীর্ঘমেয়াদী, মৃত্যুঘাতী হলেও ভাল হবার সম্ভাবনা কম হওয়ায় এসব রোগ প্রতিরোধকে গুরুত্ব দেয়া হয়। রোগ প্রতিরোধকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির বাস্তবায়ন, বৈশ্বিক পরিমন্ডলে রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকার বা¯Íবায়ন এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে ‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন’ গঠনের আহŸান জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা।