সরকার তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করেছে। উক্ত আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী, সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ২০১৬ হতে বিধানটি কার্যকর হবে। তামাকের ক্ষতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবহার হ্রাস এবং তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকরপন্থা। ৩০ জুলাই ২০১৫, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০.৩০ মিনিটে, কৈর্বত্য সম্মেলন কক্ষে প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে আয়োজিত “ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বিধান বা¯Íবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট এর নির্বাহী পরিচালক নিখিল ভদ্রের সভাপত্বিতে মতবিনিময় সভায় ব্যক্তব রাখেন, হেলথ ব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, দি ইউনিয়ন এর কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট এর পরিচালক কাজী সোহাগ ও শওকত আলী খান । ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাবিøউবিবি ট্রাস্ট এর মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম।
নিখিল ভদ্র বলেন, সরকার তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করেছে। উক্ত আইনে, সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ হতে বিধানটি কার্যকর করা হবে। পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশ ইতিমধ্যেই ছবিসহ সতর্কবাণী কার্যক্রম বা¯Íবায়ন করেছে। সুতরাং জনস্বাস্থ্য রÿায় দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমাদের নজর রাখতে হবে যে, তামাক কোম্পানীগুলো যেন বিধিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রদান করে।
সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা যায়, তামাকের ক্ষতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবহার হ্রাস এবং তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকরপন্থা। বিগত দিনে কোম্পানীগুলো সর্তকবাণী প্রচারে নানা চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রদানে যাতে কোম্পানীগুলো কোনভাবেই বিভ্রান্ত করতে না পারে সে বিষয়ে গণমাধ্যম ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সর্তক থাকতে হবে।
দেবরা ইফরইমসন বলেন, তামাক কোম্পানীকে এক বাক্যে বলা যায় যে মৃত্যুর ফেরিওয়ালা। ৪ হাজারের বেশি গবেষণায় তামাকের কারণে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি বিষয়ক নানা প্রকার ÿতিকারক দিক প্রমাণিত। ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানে তামাকজাত দ্রব্য ত্যাগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে এ ধরনের সর্তকবানী প্রদানের ÿেত্রে তামাক কোম্পানীগুলো নানা প্রকার কুটকৌশল অবলম্বন করবে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি রÿায় ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানে অবশ্যই রাষ্ট্রকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন, গণমাধ্যমকর্মী রাজু হামিদ, গাজী শাহনেওয়াজ, আফরোজা নাজনীন, এজাজুল হক মুকুল, মিজান রহমান, মাহবুব মাসুম, জাহাঙ্গীর কিরন, শাহজাহান মোলøা। এছাড়াও তাবিনাজ এর স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক রোকেয়া বেগম, নাটাব এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর একেএম খলিউলøাহ, একলাবের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদ উলøাহ, টিসিআরসি এর কর্মকর্তা মহিউদ্দিনসহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।