ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত র্নিদেশনা প্রদান করা হবে। ২৯ জুলাই সকাল ১১টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত সংগঠন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নের্তৃত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সভায় জোটভুক্ত সংস্থা প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, মানবিক এবং সিরাক বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আমির হোসেন, অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার নিয়োগী, নিরোধ শিক্ষা, গবেষনা ও প্রকাশনা বিষয়ক পরিচালক নাজমুল আহসান মজুমদার, সহকারি পরিচালক আবুল হোসেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার রিনি, মিডিয়া এডভোকেসী অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম, মানবিক এর তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুমন শেখ, সিরাক বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিসান মাহমুদসহ আরো অনেকে।
মো. আমির হোসেন বলেন, তামাকের মত বহুমাত্রিক ক্ষতিকর নেশাজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আইন প্রণয়েনের উদ্যোগ অত্যান্ত প্রসংশনীয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন এ আইন বাস্তবায়নকে আরো গতিশীল করবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ তরুণ। তামাক কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নানা অপকৌশলে তরুণদের আকৃষ্ট করতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্যাকেটের গায়ে ছবিসহ সর্তকবানী জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রণব কুমার নিয়োগী বলেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তামাকের ব্যবহার কমাতে বিড়ি-সিগারেটসহ সবরকম তামাকের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদাণ অত্যান্ত কার্যকর উপায়। নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সরকারের আইন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নাজমুল আহসান মজুমদার বলেন, অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ অত্যান্ত প্রশংসনীয়। বেসরকারী সংগঠনগুলো তামাক ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। যা অত্যান্ত ইতিবাচক। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তামাক নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
হেলাল আহমেদ বলেন, ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগ সৃষ্টি করে। তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করতে হয়। তামাকের ব্যবহার কমাতে সকলকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সর্তকবানী প্রদানের বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এটি একটি অনুকরনীয় উদ্যোগ। বিগত দিনে আমরা দেখেছি তামাক কোম্পানীগুলো নানাভাবে সর্তকবানী প্রদাণ থেকে বিরত থাকে অথবা যথাযথভাবে সর্তকবানী প্রদাণ করে না। তামাক কোম্পানীগুলোর এধরনের কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।