৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গা ও ডবিøউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যেগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না’র সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তব্য প্রদান করেন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, নতুন ধারা বাংলাদেশের সভাপতি মোমিন মেহেদী, বিসিএইচআরডির প্রধান নির্বাহী মাহবুল হক, পশ্চিম রসুলপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাইন উদ্দিন, ডাবিøউবিবি ট্রাষ্ট এর প্রতিনিধি আয়েশা আরাফাত ইকরা, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গার আসিক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিদ্যমান সিগারেটের মোড়কে লিখিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবাণী নিরÿর জনগোষ্ঠীর কোন কাজে আসছে না। তাই দেশের বৃহৎ নিরÿর জনগোষ্ঠীকে তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী দেওয়া খুব জরুরী। বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বা¯Íবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র।
বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানে বাংলাদেশ দÿিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে। নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, পাকি¯Íানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বড় আকারের ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের আইন পাস হয়েছে। নেপাল ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করেছে। জনস্বাস্থ্য রÿায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশিষ্ট সকল মহল অনতিবিলম্বে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী প্রদান করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।