তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা¯Íবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ২৩ জুলাই উত্তর নগর ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে উপরোক্ত ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম মাসুদ আহসান। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøউবিবি) ট্রাস্ট ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর যৌথ উদ্যোগে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা¯Íবায়নে সিটি করপোরেশনের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি সভাপতিত্ব করেন ।
সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মহাব্যবস্থাপক (পরিবহণপুল) এস.এম মাহাবুবুর রহমান এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøবিবি) ট্রাস্ট’র পরিচালক (প্রশাসন) গাউস পিয়ারী মুক্তি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মো. এমদাদুল হক এর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাবিøবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানীগুলো শিÿা প্রতিষ্ঠানের আশে-পাশে এবং শহরে যত্রতত্র বিড়ি-সিগারেটের দোকান গড়ে তুলছে। এসব দোকানে আইন ভঙ্গ করে কোম্পানিগুলো সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নানা কৌশলে প্রচারনা চালাচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে তামাকজাত দ্রব্যের দোকানগুলো তরুণদের তামাকের নেশায় উৎসাহিত করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ এবং বিক্রয়স্থল (চড়রহঃ ড়ভ ংধষব) হতে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ করা প্রয়োজন। সিটি করপোরেশন নিজ ক্ষমতাবলে এটা করতে পারে।
এস.এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সরকারের একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উদ্যোগে এর আওতাধীন এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারনে এবং আইনের অন্যান্য ধারা বা¯Íবায়নে কঠোর পদÿেপ গ্রহণ করা হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম মাসুদ আহসান বলেন, আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সবরকম বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ধূপানমুক্ত এলাকা হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্যানেটারি ইন্সপেক্টর এর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা¯Íবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, আইন বা¯Íবায়নে সকলের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
গাউস পিয়ারী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা¯Íবায়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আজকের এ উদ্যোগ অত্যান্ত প্রশংসনীয়। তামাকজাত দ্রব্যের ন্যায় ক্ষতিকর ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের পদক্ষেপ আন্তজার্তিকভাবেও অনুকরণীয়। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বা¯Íবায়নে আমাদের আন্তরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ড. মো. আমিনুল ইসলাম, ড. রুবাইয়াত ফতেমা এবং ড. আসিফুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ইন্সপেক্টর কন্ট্রোলার কর্মকর্তা আবু নাদির সিদ্দিক, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক মজুমদার, মো. খলিলুর রহমান, আব্দুস সালাম, ইউপিএইচসিএসডিপি, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহফিদা দিনা রুবাইয়া, নারী মৈত্রী’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক রচনা আক্তার মিতু, প্রমুখ।