English | Bangla
৩৯ দোকানীর স্বেচ্ছায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ

আইন জানি-আইন মানি এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বিদ্যমান তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের বিধান সম্পর্কে ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগনের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আজ ১৪ ফেব্র“য়ারি ২০১৫ (২রা ফাল্গুন, ১৪২১ বাংলা) সকাল ১০টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর উদ্যোগে এবং অন্যান্য তামাক বিরোধী সংগঠনের সহযোগিতায় ধানমন্ডির শংকর বাসষ্ট্যান্ড এর সামনে থেকে ধানমন্ডি-২ নম্বর রোড(ষ্টার হোটেল পর্যন্ত) রাস্তার দু-পাশে দোকান মালিকদের মাঝে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এ প্রচারণা কার্যক্রমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ৩৯ টি দোকানের মালিক  স্ব-ইচ্ছায় সিগারেটের বিজ্ঞাপন অপসারণ করেন। এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সাধারণ পথচারীরাও স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন করেন।

আইনজীবী ও নীতিবিশ্লেষক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকলধরণের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কোম্পানিগুলো নানাভাবে আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। বর্তমান সময়ে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন সিগারেটের প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় একটি কৌশল। সরকার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণ করলেও, কোম্পানিগুলো দোকানীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদান  করছে।

কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন তরুন প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহিত করছে। ধূমপানের নেশায় তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ বিপথগামী হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের এসব অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার দন্ডনীয় অপরাধ। আইনে বলা আছে, তামাকজাতদ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। আইন অমান্যে জরিমানা ১ লক্ষ টাকা এবং অনাদায়ে অনুর্ধ্ব তিনমাস বিনাশ্রম কারাদন্ড।

কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র পরিচালক প্রশাসক গাউস পিয়ারী মুক্তি, আরো উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ হোসেন ও সৈয়দা অনন্যা রহমান, সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা নাজনীন কবীর, জিয়াউর রহমান লিটু, অরুণোদয়ের তরুণ দল’র নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারনে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশুসহ অধূমপায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্যান্সার, হৃদরোগ, ষ্ট্রোক সহ নানা মরণব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা ধূমপায়ীকে ক্রমশ মৃত্যু মুখে পতিত করছে। এসব রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে তামাক বিরোধী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা, উক্ত কর্মসূচীতে দোকানী ও জনগণের মাঝে অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবীতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।