পহেলা ফাল্গুনে পরিবেশ ধূমপানমুক্ত রাখার আহ্বান
নগর জীবনে বাঙালির উল্লেখযোগ্য উৎসবের মধ্যে পহেলা ফাল্গনে ‘বসন্ত উৎসব’ অন্যতম। এই ফাল্গুন এর উৎসব সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে উদযাপন করতে আজ ১৩ ফেব্র“য়ারি (১লা ফাল্গুন, ১৪২০) সকাল ৯টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর আয়োজনে চারুকলা ইনস্টিটিউট এর সামনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশে ফাল্গুনের উৎসব উদযাপন এর আহ্বান জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রশাসনিক পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি, ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, অরুণোদয়ের তরুণ দল’র নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বাবু, মাস্তুল ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ হমান প্রমুখ।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ধূমপানের ছুড়ে দেয়া ধোঁয়ার মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। বদ্ধ স্থানে (পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন) এবং উন্মুক্ত জনসমাগমস্থলে (মেলা, উৎসব, যাত্রীদের অপেক্ষমান সারি, খেলার মাঠ, পার্ক ইত্যাদি) কাছাকাছি অবস্থানরত অধূমপায়ীদেরও ক্ষতি করে। তাই সরকার ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর মাধ্যমে সবরকম জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনকে ধূমপানমুক্ত করেছে। আইন অনুযায়ী বসন্ত উৎসব এর মত জনসমাবেশস্থল ধূমপানমুক্ত। এ উৎসবে শিশু, নারীসহ সব বয়সী অধূমপায়ী আসে। তাই জনস্বাস্থ্য বিবেচনা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এ ধরণের অনুষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত রাখা জরুরি।
তামাক বিরোধী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা বসন্ত উৎসব এ আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর দিক এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রচারপত্র বিতরণ করে।