দোকানের ময়লা যত্রতত্র ফেলার কারণে রাস্তা নোংরা হচ্ছে। এসকল ময়লা-আর্বজনা পরিবেশ দূষিত করছে। ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিসহ এলাকার সৌন্দর্য্যহানিও ঘটছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন একটি এলাকা এলাকাবাসীর মর্যাদা বৃদ্ধি করে। আজ সকাল ১১.৩০ টায় ৩৪ নং ওয়ার্ড (সাবেক ৪৭) এলাকাবাসী আয়োজনে ও ওয়ার্ক ফর এর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ধানমন্ডি কচিকন্ঠ স্কুল, এর সহযোগীতায় রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ’র চারপাশের দোকানদারদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে দোকানদাদের প্রতিদিনের ময়লা ফেলার জন্য একটি করে ঝুড়ি রাখা ও রাতে দোকান বন্ধ করার পূর্বে দোকানের সামনের অংশ পরিস্কার করার আহ্বান জানানো হয়।
ক্যাম্পেইন থেকে দোকান মালিক ভাইদের প্রতি যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করবেন না, আপনার দোকানের সামনে একটি ঝুঁড়ি বা ময়লা ফেলার পাত্র রাখুন, ক্রেতাদের ময়লার পাত্রে ময়লা ফেলতে উৎসাহিত করুন, প্রতিদিনের ময়লা স্থানীয় ময়লার ভ্যানে ফেলুন, রাতে দোকান বন্ধের পূর্বে নিজ দোকানের সামনে ঝাড়– দিয়ে পরিস্কার করে দোকান বন্ধ করুন, জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন, আপনার সন্তানকে শৈশব থেকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে অভ্যস্থ করার আহ্বান জানানো হয়।
আয়োজকরা বলেন, দোকানের সামনের অংশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দোকান মালিকের দায়িত্ব। এছাড়া ক্রেতাদের ময়লা ফেলার জন্য দোকান মালিকের ময়লার পাত্র রাখতে হবে এবং ক্রেতাদের বলতে হবে এটি ব্যবহার করতে। সবাইকে নিজ থেকে দায়িত্ব নিতে হবে এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে। আমরা আমাদের ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে সচেতনতা কর্মসুচি পর্যায়ক্রমে পুরো ৩৪ নং ওয়ার্ডে চলবে।
সমাজসেবক মঞ্জুর হাসান দিলুর নেত্বিতে ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু এর পরিচালনায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন ধানমন্ডি কচিকন্ঠ স্কুলের প্রধান অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহাবুবুল আলম, ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ হোসনে, সৈয়দা অনন্যা রহমান, সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা নাজনীন কবীর, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের কর্মসূচি সমন্বয়কারি আতিক মোর্শেদ, সাংবাদিক ওসমান গনি, অরুনোদয়ের তরুণ দলের প্রতিনিধি প্রমূখ।