ডায়বেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় গুরূত্ব প্রদান করা হলেও প্রতিরোধ ব্যবস্থায় যথেষ্ট গুরূত্ব প্রদান করা হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের অসংক্রামক রোগ দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে অচিরেই তা মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে। শনিবার ১০ জানুয়ারি সকালে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এইচআরডিসি-র কৈবর্ত সম্মেলন কক্ষে অসংক্রামক রোগ ও তামাক নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। দি ইউনিয়ন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত এ কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন করপোরেশন-এর মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী আমিন উল আহসান ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হক মনি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহার ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোকের অন্যতম প্রদান কারণ। আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালণ করবে। আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধিমালাটি দ্রুত প্রণয়ন করা জরুরি। শিশু কিশোরদের নিকট তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধে আইনের বাস্তবায়নে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সক্রিয় ভূমিকা পালনের সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন, হাঁটা, সাইকেলিং, সাঁতার কাটা, খেলাধূলার মতো কায়িক পরিশ্রমগুলো ডায়বেটিস, অতিরিক্ত মোটা হওয়া, হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভুমিকা পালণ করে। ফুটপাতের অপ্রতুলতা ও প্রতিবন্ধতাসহ নানা কারণে নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাসগুলো পালণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কায়িক পরিশ্রমের সুবিধাদি নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন পল্টু। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসিম উদ্দিন, হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন ও আমিনুল ইসলাম সুজন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, আইন বাস্তবায়নে করণীয় ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে সৈয়দা অনন্যা রহমান, আকতারুজ্জামান স্বপন ও আতিকুর রহমান। কর্মশালায় ঢাকা বিভাগের সব জেলার বেসরকারি সংগঠনের ৩৩ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।