অস্বাভাবিকভাবে তামাক চাষ বৃদ্ধির ফলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে ১ লাখ ৮ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তামাক চাষ কমিয়ে আনতে অবিলম্বে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর যৌথ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবী জানান।
তামাক বিরোধী নারী জোটের সমন্বয়ক সাইদা আখতার এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, মানবিকের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিলন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুুবুল আলম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইভা নাজনিন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, স্কোপের নির্বাহী পরিচালক এনায়েত হোসেন, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া ও আধুনিকের সচিব এম এ জব্বার প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারি এডভোকেসি কর্মকর্তা ইমান উদ্দিন ইমন।
হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলুব্ধের কারণে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানিগুলোর এ ধরণের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
সাইদা আখতার বলেন, স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় কৃষক ফসলের জমিতে তামাক চাষ করছে। বাংলাদেশের কৃষকরা চরম দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের দিয়ে তামাক চাষ করাচ্ছে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অবিলম্বে তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কৃষি জমি হ্রাসের পাশাপাশি গো-খাদ্য সংকট, শিশু-কিশোরদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত, তামাকজনিত রোগ বৃদ্ধি, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুুবুল আলম বলেন, খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। এজন্য যেসব এলাকায় তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেসব এলাকায় কৃষি ও খাদ্য কর্মকর্তাদের তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে দায়বদ্ধতা ও দায়ীত্বশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
এম এ জব্বার বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো ব্যপকভাবে অগ্রসর হচ্ছে দেশের পার্বত্য এলাকার দিকে। পার্বত্য এলাকার জমি ও নদীর তীর দখল হচ্ছে তামাক চাষের জন্য। অত্র এলাকায় কৃষি জমি হ্রাসের প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।