২০১২ সালের তথ্যানুসারে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের কর্মীরা ১৩ কোটি ৮২ লক্ষ ৮১ হাজার ১১৫ জনকে বর্হিবিভাগে এবং ৪৫ লক্ষ জনকে হাসপাতালে রেখে সেবা দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি ৩২৯৭ জনে ১জন চিকিৎসক, ১১০০০ জনে ১ জন নার্স এবং ২৭৮৪২ জনে ১ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট রয়েছে। এই সীমিত সম্পদ ও লোকবল দিয়ে মানুষকে সেবা দেয়ায় বিএসএমএমইউর মাধ্যমে সারা দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও স্বীকৃতি এক ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ, যা মানুষকে কাজে উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ করে।
ফুলের শুভেচ্ছা নিতে গিয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় আশ্রয়স্থল সরকার পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালগুলো। জনগনের এ হাসপাতালগুলোর সেবা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু সেবা প্রদানকারীদের প্রতি নূন্যতম স্বীকৃতি নেই। আপনাদের দেয়া এ স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের গর্বিত করেছে। আমরা প্রতিশ্র“তি দিচ্ছি আমাদের এ সেবা মান আরও বৃদ্ধি করা হবে যাতে ভবিষ্যতে সাধারণ রোগীরা আরও বেশী সেবা পায়।
আবু নাসের খান বলেন, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে প্রায় ৪০০০ সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দিন রাত আন্তরিক সেবায় হাসপাতালটি আজ বাংলাদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছে। মান সম্মত সেবা ও উন্নত চিকিৎসা ১৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির প্রতি সাধারণ মানুষ ও রোগীদের আস্থা অতীতের তুলনায় বেড়েছে বহুগুন। যে মানুষগুলো তাদের আন্তরিক সেবায় স্বপ্নের চিকিৎসা ব্যবস্থা সুচনা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি “ ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেয়ার জন্য”।
স্বেচ্ছাসেবীরা বলেন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হাসপাতালগুলোর সেবার জন্য ন্যুনতম স্বীকৃতি প্রদান করা হয় না, বরং প্রতিনিয়তি নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়। এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা কর্মীদের মনোবল এবং ভাল কাজের ইচ্ছাকে ধ্বংস করে। আমাদের এ কার্যক্রম আশা করি মানুষকে ইতিবাচক ভাবতে অনুপ্রাণিত করবে।
কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, পবা-র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য আন্দোলনের রোকেয়া বেগম প্রমুখ। এছাড়া এই কর্মসূচিতে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন, অরুণোদয়ের তরুণ দল, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য আন্দোলন, রক্ত সৈনিক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি, ইকো সোসাইটি, ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি, আঁচল ট্রাস্ট, হিমু পরিবহন ও ইয়ুথ এনডিং হাঙ্গার থেকে আসা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।