English | Bangla
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সার প্রতিরোধে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, কোমলপানীয় ও তামাকজাত পণ্য বজর্ন করুন

রমজান মাসে প্রতিবছরই দেখা যায় পোড়া ও ভেজাল মিশ্রিত তেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রী ভাজা হয়। অধিকাংশ ইফতার বিক্রেতা একই তেল বার বার ব্যবহার করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এছাড়া রমজান মাসে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, কোমলপানীয় ও পঁচা-বাসীসহ বিভিন্নভাবে ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যের ব্যাপকতা পরিলক্ষিত হয়। এতে ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ইফতারিসহ সকল খাদ্যদ্রব্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। এ সকল খাদ্য পরিহারে নিজেদেরও দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে।  ২২ জুলাই ২০১৪ তারিখ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, এলআরবি ফাউন্ডেশন, মাধবিকা ও অরুণোদয়ের তরুণ দলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন থেকে এ আহবান জানানো হয়। ক্যাম্পেইন শেষে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারি এডভোকেসি কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান স্বপনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, মাধবিকার নির্বাহী পরিচালক আ: রাজ্জাক, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া, অরুণোদয়ের তরুণ দলের নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বাবু এবং ইকো-সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার অনুতোষ চ্যাটার্জি প্রমূখ। 

 
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন,  খাদ্যের ভেজাল আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফরমালিন নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে, সেভাবে আন্দোলন হচ্ছে না ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয় এর বিরুদ্ধে। কোমল পানীয়গুলোও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আমাদের দেশের শিশুরা ক্রমশই এ ধরনের খাবারে প্রতি অভ্যস্থ হচ্ছে যা খুবই আশংকাজনক। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিগুলো আমাদের দেশের শিশুদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরণের চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, যার ফলে সহজেই শিশুরা এ ধরনের জাঙ্কফুডের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এখনই সময় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। এ ধরনের খাবারকে নিরুৎসাহিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। 
 
আ: রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ, আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যভাস পরিবর্তন। বেশীর ভাগ মানুষ এখন দেশী  টাটকা শাকসবজির পরিবর্তে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয় এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যার ফলে অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিবোধে সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয় এর বিরুদ্ধে সকলকে এক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
 
সুলতানা রাজিয়া বলেন, বর্তমানে দেশে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয় বেশী পরিমান খাওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আমাদের এ ধরনের খাবার পরিহার করে প্রচুর পরিমানে শাকসবজি ও ফলমুল খেতে হবে। এছাড়া অধিক চর্বি যুক্ত খাবার ও ভেজাল মিশ্রিত খাবার পরিহার করতে হবে।