ব্রিটিশ আমেরীকান টোব্যাকো কোম্পনী লিমিটেড ও আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানী ধানসমৃদ্ধ চলনবিল অঞ্চলে ব্যাপক আকারে তামাক চাষে কৃষ দের উদ্দ্যেগী করে তোলে। সাধারনত প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ তামাক উৎপাদন হলেও কৃষকরা আরো ২টি ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তামাক উঠতে মূলত ৫ মাস সময় লাগে, তাই পরবর্তী সময়েবন্যাপ্রবন চরনবিলে ধানী জমি গুলোতে আর কোন ফসল আবাদ করা সম্ভব হয় না। তামাক চাষে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়,মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। জনস্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে কৃষকদে বিরত থাকা উচিৎ। যেহেতু আমাদের দেশে খাদ্যশস্যর চাহিদা অনেক বেশী সেহেতু ওই জমিতে অনায়াসে দুটো ধানের আবাদ করে খাদ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বা সংক্ষেপে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গুরুদাসপুর বড়াইগ্রাম তথা চলনবিল এলাকায় তামাক চাষের ভয়াবহ চাষের ব্যপকতা পরিলক্ষিত হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে বিলচলন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস সেন্টার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যে ব্যবহার নিয়ন্ত্রন আইন ২০০৫ উন্নয়নের লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় শীর্ষক লিফলেট ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন। তামাক চাষের ক্ষতি হতে কৃষকদের রক্ষায় সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন নিরুৎসাহ এবং বিকল্প অর্থকারী ফসল উৎপাদনের সহযোগিতা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ দাবিতে বিলচলন ডেভলপমেন্ট সার্ভিস সেন্টার এর পক্ষ থেকে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-৪ বরাবর ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক উৎপাদনে বা চাষে নিরুৎসাহিতকরণ ও নিয়ন্ত্রনে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ স্বারকলিপি আকারে প্রদান করা হয়।