বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের, মাননীয় মন্ত্রী, জনাব মোঃ ফারুক খান এমপি, পর্যটন স্থাপনা ধূমপানমুক্ত রাখতে করনীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক এর আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন স্থাপনা ধুমপানমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ধূমপানমুক্ত সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে। পাশাপাশি তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য মন্ত্রীসহ অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকা বিভাগের সিভিল সার্জন, ডা: জসিম উদ্দিন বলেন, সিগারেট কোন খাদ্য নয়, এটিতে কোন উপকার হয়না, বরং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, ষ্ট্রোক, হার্ট এটাকসহ জটিল রোগএর সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় তামাক ব্যবহার না করেও পরোÿ ধূমপান গর্ভবর্তী মায়েদের ক্ষতি করছে। তামাকের ভিতরে কয়েকশ ÿতিকর কেমিকেল আছে যা শরীরের ক্ষতি করে। তামাক নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। আমরা যদি সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এভাবে কাজ করি তাহলে আমরা আরো অগ্রসর হতে পারবো। তিনি এধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন পর্যটন বিশেষজ্ঞ ফারুক হাসান বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্তকরণসহ ইকো-টুরিজ্যম ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। উন্নত দেশের আদলে আমাদেরও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পর্যটকদের ভ্রমনকে স্বাচ্ছন্দময়, আন্দনদায়ক ও বিনোদন কেন্দ্রিক করতে শুধুমাত্র স্থাপন নয় বরং কক্সবাজার সী-বীচের প্রাকৃতিক স্থান এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত করা প্রয়োজন। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের, পরিচালক, এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ধূমপায়ীর ধূমপানের ফলে অধূমপায়ীর অধিকার ক্ষুন্ন হয়। বাংলাদেশ প্রায় ১ কোটি নারী পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে মানুষকে রক্ষায় ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি কার্যকর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগনকে আইন পালনে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। কেননা আইন প্রয়োগ অপেক্ষা আইনের পালণ জরুরি। সহকারী অধ্যাপক, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কামরুল হাসান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশ্বে ১.২ বিলিয়ন লোক ধূমপান করেছে। ধূমপান এর কারনে মানুয়ের মৃত্যু ঘটে। তাই মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে হবে। এবিষয়ে তিনি একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রদাণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সভাপতি আবুল হাসান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পর্যটন স্থাপনা ধূমপানমুক্ত রাখতে আমাদের এই আয়োজনের পরবর্তী দেশের সকল সরকারী পর্যটন স্থাপনা ধূমপানমুক্ত হবে, আমরা আশা করি সরকারের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগ সারা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ছড়িয়ে পড়বে। শত ব্যস্ততার মাঝে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য মাননীয় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। ধন্যবদ জানায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, প্রবন্ধ উপস্থাপক, আলোচক এবং সম্মানিত সূধীদের। আমরা আশা করি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধূমপান বিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হবে। মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ধূমপান বিরোধী আন্দোলন ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে সৃষ্টি হচ্ছে ধূমপানমুক্ত স্থাপনা। ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে হবে। ধূমপানমুক্ত স্থানে কোন ধরনের ধূমপানের স্থান রাখা যাবে না। অনুষ্ঠােেন আরো বক্তব্য রাখনে, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের তুষার রহমান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাইদ রানা প্রমুখ।