ক্যান্সার, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড, কোমল পানীয়-এনার্জি ড্রিংক্স-প্যাকেটজাত জুস এর মত ক্ষতিকর পণ্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপ এবং এসব ক্ষতিকর পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন। ১৯ জুন, ২০১২ সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠণ, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, সিরাক বাংলাদেশ ও অরুনোদয়ের তরুন দল এর উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে এই দাবী জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ধূমপান ও মাদক সেবন, ফাস্ট ফুড-জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয়-এনার্জি ড্রিংক্স-প্যাকেটজাত জুস এর নামে বাজারে যেসব ক্ষতিকর পণ্য পাওয়া যায় এসব পণ্য শিশু ও তরুণদের আকৃষ্ট করতে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এসব পণ্য মানুষের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। যে কারণে শিশু-কিশোরদের মধ্যেও ক্যান্সার, ডায়াবেটি, স্থুলতা, বিষন্নতাসহ নানা অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এসব ক্ষতিকর পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এনার্জি ড্রিংক্স-কোমল পানীয় বা প্যাকেটজাত জুস নয়, সুস্থ্যতার জন্য বিশুদ্ধ পানি ও ডাবের পানি, লেবু ও বেলের শরবত পানে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। এছাড়া তাজা-ফলমূল খেতে শিশুদের উৎসাহী করার জন্য পরিবারের পিতা-মাতাকে সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা ও চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
বক্তারা বলেন, মূলত ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাসই অসংক্রামক রোগের জন্য দায়ী। তাই ক্ষতিকর খাদ্য বর্জন করতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর জন্য সরকার ও গণমাধ্যম সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সুস্থ সমাজ গড়ে মানুষের সুস্থ্যতা জরুরি। আর মানুষকে সুস্থ্য রাখতে ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, এনার্জি ড্রিংক্স, মোড়কজাত জুস ইত্যাদি ক্ষতিকর খাদ্যদ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ ও উচ্চহারে কর আরোপসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মানুষকে ব্যায়াম, খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর গঠনে মনোযোগী করতে হবে। শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে জনসচেতনতা বৃৃদ্ধিতে বেশি করে প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য অংসক্রামক রোগ প্রতিরোধে বাজেটে বরাদ্ধ প্রদান করতে হবে। কায়িক পরিশ্রম ও খাদ্য গ্রহণের লক্ষ্যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ এবং খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর পদÿেপ গ্রহণ করতে হবে। তাজা ও বিষমুক্ত ফলমূল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিশ্চিতে কৃষক ও হকারদের সহযোগিতর জন্য পরিকল্পনা ও বাজেট প্রদানের সুপারিশ করা হয।
ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, টিএমএসএস এর সহকারী পরিচালক রেহানা আক্তার, সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক এনাম আহমেদ, অরুণোদয়ের তরুন দলের নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বাবু, হিল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেবুন নেসা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান ও ফ্রেন্ডস মিডিয়ার নির্বাহী পরিচালক জাকারিয়ার হোসেন শাওন প্রমুখ